উত্তরবঙ্গেও শুরু অতিভারী বর্ষণ
নিউজ ডেস্ক::রাস্তা যেন নদী। প্রবল জলের তোড়ে রাস্তা গাছ ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে পাহাড়ি ঝোরা। তিরতির করে যে ঝোরা বয়ে যায় সেই ঝোরা যেন রাক্ষুসে হয়ে উঠেছে বর্ষার বৃষ্টিতে। উত্তর সিকিমের সঙ্গে গ্যাংটকের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।
প্রায় ২০০০-র বেশি পর্যটক আটকে গিয়েছিলেন উত্তর সিকিমে। সেনাবাহিনী তৎপরতার সঙ্গে তাঁদের উদ্ধার করে। এখনও তাঁদের বাড়ি ফিরিয়ে আনা যায়নি। তাতে কলকাতা এবং রাজ্যের একাধিক পর্যটক থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকট জনক সিকিমের।
প্রবল বর্ষণের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেখানকার একাধিক গ্রাম। প্রায় শতাধিক বাড়িঘর ধসে ভেঙে গুড়িয়ে গিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পশ্চিম সিকিমও। সেখানেও প্রবল বর্ষণের জেরে একাধিক জায়গায় ধস এবং হড়পা বান দেখা দিয়েছে। তার জেরে একাধিক বাড়িঘর সেখানে ভেঙে গুঁড়িয়ে গিয়েছে। জলের তোড়ে আর ধসে ভেসে গিয়েছে সেতু। রাস্তা নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে।
পশ্চিম সিকিমের সিম্পক সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেন্টাম ভ্যালিতে প্রবল বর্ষণের জেরে ভেসে দিয়েছে একাধিক বাড়িঘর। হড়পা বাণের জেরে কাদার স্রোত বইছে একাধিক এলাকায়, কলেজ খোলা এলাকায় পর পর হড়পা বাণের েজরে এরকাধিক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সিকিমের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলাতেও বর্ষণ শুরু হয়ে গিয়েছে। সিকিমে বৃষ্টির কারণে ফুলে ফেঁপে উঠেছে রঙ্গিত নদী। অন্যদিকে তিস্তা-তোর্ষার জলও বাড়তে শুরু করেছে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার জেলায় সোমবার সকাল থেকেই ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রবল বর্ষণের কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ডুয়ার্সের সব জঙ্গল।
বর্ষার কারণে আগামী তিন মাস বন্ধ থাকবে জঙ্গল। বর্ষার সময় জঙ্গলবন্ধ রাখা হয়। এই সময়ে প্রাণীদের প্রজননের সময় বলেই জঙ্গল বন্ধ রাখা হয়। উত্তরবঙ্গে আগামী কয়েক মাস ডুয়ার্সে পর্যটকদের বেড়াতে না যাওয়াই ভাল। কারণ এই সময়ে ভুটান পাহাড়ে প্রবল বর্ষণের কারণে ভেসে যায় ডুয়ার্সের বিস্তীর্ণ এলাকা।
ওদিকে আবার অসমেও প্রবল বর্ষণে একাধিক জায়গায় শুরু হয়ে গিয়েছে বন্যা। অসমের প্রায় ১২টি জেনা প্লাবিত হয়েছে। তার জন্য ৩৩,৫০০ জনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অসমের কাছাড়, দারাঙ্গ, ধেমাজি, ডিব্রুগড়, গোলাঘাট, লখিমপুর,নওগাঁও, নলবাড়ি, সোনিতপুর, তিনসুকিয়া, উডালগুড়ি জেলা প্রবল বর্ষণে একেবারে ভেসে গিয়েছে।