মোদীকে গান শোনালেন জেনা
নিউজ ডেস্ক::প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মিশর সফরে। কায়রো পৌঁছনোর পর ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী পেলেন রাজকীয় অভ্যর্থনা। প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে মিলিত হওয়ার অনুষ্ঠানে মোদীকে পাওয়া গেল অন্য মেজাজে।
মোদীর সঙ্গে সাক্ষাতে উচ্ছ্বসিত প্রবাসী ভারতীয়রা। এই অনুষ্ঠানে সবচেয়ে বেশি নজর কাড়লেন মিশরীয় কন্যা জেনা।
এই প্রথম ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মিশরের প্রধানমন্ত্রীর রাউন্ড টেবিল বৈঠক হলো। ব্যবসা-বাণিজ্য, অচিরাচরিত শক্তি, গ্রিন হাইড্রোজেন, তথ্য-প্রযুক্তি, ডিজিটাল পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম, ওষুধ ও নাগরিক বন্ধন-সহ বিভিন্ন ইস্যুতে দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয় উঠে আসে আলোচনায়।
ভারতীয়দের জন্য বিশেষ ইউনিট স্থাপন করার জন্য মোদী মিশরের প্রধানমন্ত্রী মোস্তাফা মাদবৌলি সরকারের প্রশংসা করেন। সরকার যেভাবে কাজ করছে তার প্রশংসা করেন নরেন্দ্র মোদী। আগামীকাল মোদী কায়রোয় ঐতিহাসিক আল-হাকিম বি-আমর-আল্লাহর নামাঙ্কিত মসজিদে কিছুক্ষণ সময় কাটাবেন।
দাউদি বোহরা সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরাও এদিন মোদীর সঙ্গে দেখা করে উচ্ছ্বসিত। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে মিশরের হয়ে লড়াই চালিয়ে শহিদ ভারতীয় জওয়ানদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন প্রধানমন্ত্রী। হেলিওপলিস ওয়ার গ্রেভ সিমেট্রিতে তিনি যাবেন। এর আগে, ১৯৮০ সাল থেকে চারজন প্রধানমন্ত্রী মিশর সফরে গিয়েছেন।
১৯৮৫ সালে রাজীব গান্ধী, ১৯৯৫ সালে পিভি নরসিমা রাও, ১৯৯৭ সালে আইকে গুজরাল ও ২০০৯ সালে মনমোহন সিংয়ের পর পঞ্চম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদী মিশরে গেলেন। দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক আরও মজবুত হতে পারে এই সফরের পর। মোদীকে বিমানবন্দরেই উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়।
প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে মোদী যখন মিলিত হচ্ছিলেন তখন শাড়ি পরিহিতা জেনা ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান হিন্দি গান গেয়ে। শোলের ইয়ে দোস্তি হম নেহি তোড়েঙ্গে গানটি শুনে আপ্লুত হন প্রধানমন্ত্রী। মোদীর প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, ৬ বছর বয়স থেকেই হিন্দি গান তাঁর প্রিয়।
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জেনা বলেন, সহাস্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে তিনি আপ্লুত। ভারতের প্রধানমন্ত্রী যে এত মন দিয়ে তাঁর গান শুনবেন সেটাও আগে ধারণায় ছিল না। শোলের গানটির পাশাপাশি লাগ জা গলে গানটিও শোনান জেনা। ভারতের মুভি দেখতে পছন্দ করেন। প্রিয় ছবি কুছ কুছ হোতা হ্যায়।