সাফের শেষ চারে ভারত
নিউজ ডেস্ক::পাকিস্তানের পর নেপাল, সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের জয়ের ধারা অব্যাহত। নেপালকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করল ভারত। শনিবাসরীয় সন্ধ্যায় কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে আরও একবার সুনীল ম্যাজিক।
পাকিস্তানকে হেলায় হারালেও নেপালের বিরুদ্ধে জয় পেতে যথেষ্টই বেগ পেতে হল ভারতীয় দলকে।এই ম্যাচে অবশ্য বেশ কিছু পরিবর্তন করে ভারত। গোলের নীচে ফেরেন গুরপ্রীত সিং সাধু। পাশাপাশি মহেশ সিং, রোহিত কুমারদের প্রথম একাদশে সুযোগ দেওয়া হয়।দ্বিতীয়ার্ধে ফিফা ক্রমতালিকায় ১৭৪ নম্বরে থাকা নেপালের ডিফেন্সের ওপর চাপ বাড়ায় ভারতীয় দল। ম্যাচের শুরু থেকেই গোলের লক্ষ্যে ঝাঁপায় ভারতীয় দল।
সামাদ-উদান্তারা সুযোগ তৈরি করলেও তা কাজে আসছিল না। প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকায় চাপ বাড়ছিল। পরিস্থিতি বদলে দিলেন ক্যাপ্টেন সুনীল ছেত্রী। ম্যাচের ৬১ মিনিটে সেই সুনীল ছেত্রীর গোলেই খাতা খুলল টিম ইন্ডিয়া। বাঁ প্রান্ত থেকে মহেশের দুর্দান্ত দৌড় এবং ক্রস থেকে নিখুঁত ফিনিশিংয়ে ভারতকে এগিয়ে দেন ভারত অধিনায়ক। ভারত গোলমুখ খুলে ফেলতেই নেপাল ছন্নছাড়া হয়ে যায়। ঘনঘন সুযোগ আসা শুরু করে।
এরইমধ্যে ম্যাচের ৬৪ মিনিটে নেপালের ফুটবলারের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন রাহুল ভেকে। নিজের মেজাজ হারিয়ে নেপালের ফুটবলারের দিকে তেড়ে আসেন। তখনই দুই দলের ফুটবলাররা একে অপরের দিকে দৌড়ে যান। শুরু হয় ঝামেলা। পরে রেফারি পরিস্থিতির সামাল দেন।
৭০ মিনিটে দ্বিতীয় গোল পায় ভারতীয় দল। এবারে সুনীলের শট বারে গিয়ে লাগে। রিবাউন্ডে গোল করে যান মহেশ। দেশের হয়ে এটি তার প্রথম গোল। গোল করে এবং করিয়ে নায়ক হয়ে যান ইস্টবেঙ্গল তারকা। এরপরও সুযোগ এসেছিল, তবে আর গোল আসেনি।
লাল কার্ড দেখায় এই ম্যাচে ভারতীয় দলের ডাগ আউটে ছিলেন না ইগর স্টিমাচ। মাঠে ঢুকতে পারবেন না, তাই ছেলেরা মাঠে প্রবেশ করার আগেই দাঁড়িয়েছিলেন ইগর স্টিমাচ। মাঠে ঢোকার আগেই সুনীল ছেত্রীদের শুভেচ্ছা জানান তিনি। কিন্তু তাঁর ডেপুটি মহেশ গাউলি ভালোভাবেই কাজ সামলে দিলেন।
এই জয় পরের ম্যাচে কুয়েতের বিরুদ্ধে নামার আগে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নিল ভারত। যদিও ফিফা ক্রমতালিকায় পাকিস্তান এবং নেপালের থেকে এগিয়ে আছে কুয়েত। কিন্তু ভারতের থেকে তারা এই পর্যায়ে অনেকটাই পিছিয়ে। এই নিয়ে টানা ৮ ম্যাচ অপরাজিত ইগর স্টিমাচের দল।