রাজ্যসভায় তৃণমূলের ‘সংখ্যালঘু মুখ’ সামিরুল
নিউজ ডেস্ক::রাজ্যসভার নির্বাচনে সাংসদ পদপ্রার্থী হিসেবে তিনজন নতুন মুখ এনেছে তৃণমূল। পশ্চিমবঙ্গ থেকে যে সাতটি আসন খালি হচ্ছে, তার মধ্যে ৬টি আসনে তৃণমূলের প্রার্থীর নির্বাচিত হওয়া স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। বাকি আসনটি যাবে বিজেপির দখলে। এই অবস্থায় তৃণমূল তিনজন পুরনো মুখের উপর ভরসা রেখেছে।
তৃণমূল নতুন যে তিন মুখকে এবার রাজ্যসভায় পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে, তার মধ্যে রয়েছেন আরটিআই কর্মী সাকেত গোখলে, উত্তরবঙ্গের অন্যতম মুখ প্রকাশ চিক বরাইক, মুসলিম অধ্যাপক সামিরুল ইসলাম। ২৪ জুলাই রাজ্যসভার নির্বাচন অনু্ষ্ঠিত হবে।
তৃণমূলে নবাগত আরটিআই কর্মী সাকেত গোখলে। গত বছরের অগাস্টে দলে যোগ দেন তিনি। ২০২৩ সালের মে মাসে সাকেত গোখলেকে ক্রাউড-ফান্ডিং এবং তহবিলের অপব্যবহারের অভিযোগে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দায়ের করা প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
আর প্রকাশ চিক বরাইক আলিপুরদুয়ার তৃণমূলের জেলা সভাপতি। তৃণমূল ২০২৪-এর নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে ফোকাস করতে প্রকাশ চিক বরাইককে বেছে নিয়েছে। আর তৃতীয় জন হলেন সামিরুল ইসলাম। বীরভূমের কৃষক পরিবারের সন্তান। তিনি একজন সমাজকর্মী। হাওড়া কলেজের সহকারী অধ্যাপক। তিনি হলেন বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের সভাপতি। তিনিই ‘নো ভোট টু বিজেপি’র নেতৃত্বে তুলেছিলেন।
এমনই একজন তরুণ সংখ্যালঘু মুখকে রাজ্যসভায় পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে তৃণমূল। সামিরুলকে রাজ্যসভায় পাঠিয়ে সংখ্যালঘু সমাজকে বার্তা দিতে চাইছেন তিনি। তিনি রাজ্যসভা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পর জানান, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে একটি বড়ো দায়িত্ব দিয়েছেন।
তাঁর কথায়, আমি বাংলার সমস্যা রাজ্যসভায় নিয়ে যাব এবং মানুষের কণ্ঠস্বর হব। এটি একটি খুব বড়ো দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালনে করতে আমি সংবিধান মেনে তা শুরু করব।
তিনি বলেন, শুধু সংখ্যালঘু মানুষের প্রতিনিধ হয়ে আমি রাজ্যসভায় যাচ্ছি না আমি যাচ্ছি মানুষের প্রতিনিধি হয়ে। পিছিয়ে পড়া খেটে খাওয়া মানুষের কথা আমি তুলে ধরতে চাই রাজ্যসভায়। সেইসঙ্গে আমি তুলে ধরতে চাই যে, মোদী সরকার জনজাতি দরদীর কথা বলে, কিন্তু কাজে তা করে দেখায় না। জনজাতিদের উন্নয়নে তিনি আওয়াজ তুলবেন রাজ্যসভায়।
তবে সকলের দৃষ্টি এখন বিজেপি কাকে মনোনীত করে তার দিকে। কারণ এই প্রথমবার বিজেপি পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজ্যসভার প্রতিনিধি পাবে৷ সপ্তম আসনের জন্য লড়াই হবে ২৪ জুলাই রাজ্যসভার নির্বাচনের দিন। গুজরাট থেকে আরও তিনটি আসন খালি হচ্ছে, তার মধ্যে বিদেশমন্ত্রী এস. জয়শঙ্করের আসনও রয়েছে।