সচিনের চোখে আলকারাজই আগামীর ফেডেরার

0 0
Read Time:4 Minute, 38 Second

নিউজ ডেস্ক::জকোভিচের জয় রথ থামিয়ে বিশ্ব টেনিসে এখন আলকা-রাজ। ইউএস ওপেনের পর এবার ঘাসের কোর্টে উইম্বলডন। ২০ বছরের তরুণ তুর্কি কার্লোস আলকারাজই এখন টেনিসের আকাশে নতুন নক্ষত্র। রবিবার ৪ ঘণ্টা ৪২ মিনিট লড়াই শেষে জোকারকে হারালেন। প্রথমবারের মতো উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেলেন স্প্যানিশ তরুণ। এরপর থেকেই অভিনন্দনের জোয়ারে ভাসছেন আলকারাজ!

নিজের গ্রামের টেনিস ক্লাবের গণ্ডি ছাড়িয়ে কৈশোরে আলকারাজ ভর্তি হলেন নাদালের অ্যাকাডেমিতে। সেখানেই পেয়েছিলেন পেশাদার টেনিসের পাঠ।নিজের গুরুকুলের শিক্ষার্থী উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন। উত্তরসূরিকে শুভেচ্ছা জানাতে ভুল করেননি ২৩ বারের গ্র্যান্ড স্ল্যাম চ্যাম্পিয়ন নাদাল।

সমাজ মাধ্যমে রাফা লেখেন, ‘অভিনন্দন কার্লোস আলকারাজ়। আজ আমাদের দারুণ আনন্দ দিয়েছো। স্পেনের টেনিসের পথপ্রদর্শক মানোলো সান্তানা আজ যেখানেই থাকুন না কেন, আমি নিশ্চিত তিনিও তোমাকেই সমর্থন করেছেন। তোমাকে আলিঙ্গন পাঠালাম। মুহূর্তটা উপভোগ করো, চ্যাম্পিয়ন।’

খাতায়-কলমে ধারেভারে সবদিক থেকেই এগিয়েছিলেন সার্বিয়ান টেনিস তারকা । ২৪ তম গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের মঞ্চেও ছিল প্রস্তুত। কিন্তু জোকারের অপেক্ষা বাড়িয়ে দিলেন তরুণ স্প্যানিশ টেনিস তারকা। বিশ্বের ২ নম্বর টেনিস তারকার সঙ্গে লড়াই বিশ্বের ১ নম্বর টেনিস তারকার। ম্যাচও হল হাড্ডাহাড্ডি। কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বললেন না। পেণ্ডুলামের মতো দুলল ম্যাচের ভাগ্য। শেষ হাসি হাসলেন স্প্যানিশ টেনিস তারকাই।

বয়সে ১৬ বছরের ছোট আলকারাজের কাছে হার মানলেন জকোভিচ। ম্যাচ শেষে জোকার বলেন, ‘এই কোর্টের সঙ্গে এত দ্রুত যে ভাবে মানিয়ে নিয়েছো, তা এক কথায় অনবদ্য। কেউই এই ভাবে হারতে চায় না। তবে আবেগ সরিয়ে রেখে একটা কথা বলতে পারি, আমি গর্বিত, এখানে অনেক কঠিন ম্যাচ এবং ট্রফি জিতেছি। এই বার আমার চেয়ে সেরা প্লেয়ারের কাছে হেরেছি। ওকে অনেক শুভেচ্ছা।’
একদা টেনিস আইকনের বিরুদ্ধে উইম্বলডন ট্রফি জয়। কিছুটা আবেগতাড়িত হয়ে আলকারাজ বলেন, ‘আমি জকোভিচকে অভিনন্দন জানাতে চাই। তোমার বিরুদ্ধে খেলা অসাধারণ ছিল। ওকে নিয়ে আর কীই বা বলতে পারি? অবিশ্বাস্য। তুমি আমার অনুপ্রেরণা। আমি জন্মে থেকে তোমাকে খেলতে দেখছি। সেই সময়ই তুমি টুর্নামেন্ট জিতছো। তুমি আমার চেয়ে অনেক বেশি ফিট। ছত্রিশই এখন নতুন ছাব্বিশ।’

ক্রিকেট মাঠের মানুষ হলেও সচিন তেন্ডুলকর বরাবরই টেনিসেরর অনুরাগী। সময় পেলেই উইম্বলডনের আসরে বন্ধু রজার ফেডেরারের খেলা দেখতে হাজির হতেন লিটল মাস্টার। উইম্বলডনের নতুন চ্যাম্পিয়নকে শুভেচ্ছা জানাতে ভুল করেননি সচিনও।

সোশ্যাল সাইটে সচিন লেখেন, ‘দারুণ একটা উত্তেজক ফাইনাল ম্যাচ। দুই অ্যাথলিটই দারুণ টেনিস উপহার দিয়েছেন। আমরা টেনিসের নতুন সুপারস্টারের উত্থানের সাক্ষী থাকলাম।আগামী ১০-১২ বছরের মধ্যে রজার ফেডেরারের মতোই কেরিয়ার হবে আলকারাজের।’

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!