শুভেন্দু চাইছেন মালদহের পুলিশ সুপারের গ্রেফতারি
নিউজ ডেস্ক ::
মালদহের বামনগোলায় দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধরের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ঘটনার প্রেক্ষিতে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার। যদিও সেই সাংবাদিক বৈঠক নিয়ে সরব বিজেপি।
পুলিশ সুপারের বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভা অধিবেশন শুরুর আগে দিল্লিতেও যাচ্ছেন শুভেন্দু।
মালদহের জেলা পুলিশ সুপারের বক্তব্য অনুযায়ী, পাকুয়াহাটে চোর সন্দেহে যাঁদের মারধর করা হয়েছে এবং মারধরে যাঁরা অভিযুক্ত তাঁরা সকলেই বিজেপির। এতে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও যোগ নেই। সুকান্ত মজুমদার বলেন, এ কথা বলার পর তো এসপির চাকরি থাকাই উচিত নয়। এসপির বক্তব্য সরকারি নিয়মের পরিপন্থী, সেটিও বুঝিয়ে দিয়েছেন সুকান্ত।
তাঁর কথায়, অসভ্য এসপি আমাদের সাংসদদের সঙ্গে দেখা করেন না। বিধায়কদের ফোন ধরেন না। সঠিক সময়ে এঁদের উচিত শিক্ষা দেওয়া হবে। কে টিএমসি, কে বিজেপি করে এমন মন্তব্য করার আগে খাকি উর্দি খুলে উনি মা মাটি মানুষের স্লোগান তুলে ঝান্ডা নিয়ে মিছিল করুন।
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রাজ্যের ডিজি মনোজ মালব্যর মতো মালদহের এসপিও মমতা বন্দ্যোাপাধ্য়ায়ের লিখে দেওয়া স্ক্রিপ্ট পড়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন মহিলা, পুলিশমন্ত্রীও। এটা ভাবতেই লজ্জা হয়। আড়াই বছরে বগটুই থেকে পাকুয়াহাটের মতো প্রচুর ঘচনা ঘটনা ঘটেছে। বাংলার মহিলারা অরক্ষিত, নির্যাতিত, অমানুষিক অত্যাচারের সম্মুখীন। মমতা পুলিশমন্ত্রী হিসেবে ব্যর্থ।
শুভেন্দু আগেই বলেছিলেন যে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধর করা হয়েছিল তাঁদেরও গ্রেফতার করা হয়েছে। এসপির সাফাই, আইসি অ্যারেস্ট করেছেন। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যাঁরা ভিডিও করেছিলেন তাঁদেরও চিহ্নিত করা হচ্ছে। শুভেন্দুর কথায়, পুরো বেআইনি কাজ চলছে। আইন হাতে তুলে নেওয়া হয়েছে পুলিশের সামনে। যাঁরা নির্যাতন করেছেন তাঁদের মতো পুলিশও সমান অপরাধী।
এদিন কলকাতায় বিজেপির নবনির্বাচিত সাংসদ নগেন্দ্র রায় (অনন্ত মহারাজ)-এর সঙ্গে কলকাতা থাকা বিজেপি বিধায়করা মিলিত হলেন। তাঁকে সংবর্ধিত করা হয়। সুকান্ত বলেন, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতায় উনি দলের সব বিধায়কের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। শপথ নেওয়ার পর তিনি দলের সকলের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করবেন।
অনন্ত মহারাজকে সাংসদ করায় বিজেপি উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য করার পথে হাঁটছে বলে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। এর পাল্টা শুভেন্দু বলেন, ভাইপো উত্তরবঙ্গের নাম মুছে দিতে চাইছেন, সেটা হবে না। উত্তরবঙ্গ আমাদের হৃদয়। উত্তরবঙ্গের যন্ত্রণা রাজ্য সরকার প্রশমিত করলেই বাংলা ভাগের দাবি উঠবে না। উত্তরবঙ্গ আমাদের সরকার গড়তে বেশিরভাগ আসনে বিধানসভা ভোটে জিতিয়েছিল।
শুভেন্দু আরও বলেন, উত্তরবঙ্গ প্রচুর বিধায়ক, সাংসদ দিলেও কলকাতা ও তার আশেপাশের এলাকার মানুষরা যাঁরা নিজেদের অতি জ্ঞানী বুদ্ধিমান ভাবেন তাঁরাই মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের মতো বিষবৃক্ষকে এনেছেন। উত্তরবঙ্গ বিজেপিকে আশীর্বাদ করেছে, আমরা সুযোগ পেয়ে উত্তরবঙ্গকে আরও এক সাংসদ উপহার দিলাম।