সৌরজগতেই রয়েছে এলিয়েন
নিউজ ডেস্ক::আমাদের সৌরজগতেই রয়েছেন এলিয়েন! ভিনগ্রহী বা এলিয়েনরা যে আছেন এবং তাঁরা যে এই সৌরজগতেই বাস করছেন, তা একেবারে নিশ্চিত নাসার বিজ্ঞানী। তিনি নিশ্চিত হয়েই ইঙ্গিত দিলেন কোন গ্রহে তাদের বাসস্থান হতে পারে। অর্থাৎ ভিন গ্রহে প্রাণ আছে বলে তিনি নিশ্চিত।
নাসার এক বিজ্ঞানী সম্প্রতি দাবি করেছেন, আমরা এলিয়েন খুঁজে পাবো কি না, সেটা ভিন্ন কথা। কিন্তু যদি বলেন, এলিয়েনের অস্তিত্ব আছে কি না, তাহলে বলব আমাদের সৌরজগতেই রয়েছে এলিয়নে বা ভিনগ্রহীরা। তিনি নিশ্চিত এই সৌরজগতেই এলিয়েনদের খোঁজ মিলবে। যদিও অন্যরা তাঁর এই দাবি মানতে নারাজ।
সৌরজগতে পৃথিবীতে যে পরিবেশ রয়েছে, তা আর কোনও গ্রহে নেই। শুক্র গ্রহকে পৃথিবীর যমজ গ্রহ বলা হত। কিন্তু তাও এখন চরিত্র বদলে অগ্নিপিণ্ডে পরিণত হয়েছে। সৌরজগতের গ্রহগুলির মধ্যে সবথেকে বেশি উষ্ণ শুক্র গ্রহ। সেখানকার তাপমাত্রা ৪৭৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড।
শুধু অতি উষ্ণ তাপমাত্রাই নয়, এই গ্রহে রয়েছে বিষাক্ত অম্লীয় বায়ুমণ্ডল, যা অবিলম্বে মানুষকে হত্যা করতে প্রস্তুত। নাসার একজন বিজ্ঞানী দাবি করেছেন, এখানেই বহির্জাগতিক জীবন রয়েছে। এই নতুন তত্ত্বের পাশাপাশি গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টারের গবেষক ডক্টর মিশেল থ্যালার বলেন এই কথা।
তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত যে এলিয়েন আমাদের কাছাকাছিই রয়েছে। কিন্তু আমরা ১০০ শতাংশ নিশ্চিত নই যে তাদের খুঁজে পাবো। আবার মঙ্গল নিয়েই তিনি আশার কথা শুনিয়েছেন। পৃথিবীতেও মঙ্গলের মতো স্থান রয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হল আমরা মঙ্গলকে কতটা জেনেছে বা বুঝেছি।
তবে তিনি মনে করেন, মঙ্গল গ্রহের থেকে আমাদের কাছের গ্রহে জীবন থাকার সম্ভাবনা বেশি। আমরা শুত্রের বায়ুমণ্ডলে জীবনের সম্ভাব্য লক্ষণগুলি দেখতে পাচছ্। বৃহস্পতি ও শনির চাঁদেও পৃথিবীর মতো পরিবেশ রয়েছে। সৌরজগতে জীবন অনেক সহজ।
থ্যালার বলেন, মাইক্রোবাল জীবন সৌরজগতের অনেক গ্রহে বা উপগ্রহেই থাকতে পারে। কিন্তু আমরা যে জীবন খুঁজছি, সেই জীবন মিলবে শুক্র গ্রহে। অর্থাৎ এলিয়েনের খোঁজ মিলবে শুক্রে। বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত যে, আমরা একদিন জীবন খুঁজে পাবো। তবে তা যে আমাদের সৌরজগতের এত কাছে তা কল্পনা করা যায়নি। সৌরজগতের সবথেকে উষ্ণতম গ্রহ, যেখানে সীসা পর্যন্ত গলে যায়, সেখানে কী করে জীবন থাকতে পারে, সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
শুক্রের বায়ুমণ্ডলে সালফিউরিক অ্যাসিদ ও কার্বন ডাই অক্সাইডের সমন্বয়ে তাপকে আটকে রাখে, কোথাও ছড়িয়ে পড়তে বা বেরোতে দেয় না। তা সত্ত্বেও বিজ্ঞানীরা দীর্ঘকাল ধরেই বিতর্ক করে চলেছে, যে শুক্রের মেঘগুলি অণুজীব জীবাণুকে ধরে রাখতে পারে, যা সালফার, মিথেন ও লোহা থকে বেঁচে থাকতে পারে।