প্রয়াত ইসরোর বিজ্ঞানী ভালারমতি
নিউজ ডেস্ক::চন্দ্রযান-৩-র কাউন্ট ডাউন দিয়েছিলেন ইসরোর বিজ্ঞানী ভালারমতি। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন তিনি। ভারতের ঐতিহাসিক চন্দ্রযান-৩ তাঁর কাউন্টা ডাউনের নির্দেশেই পাড়ি দিয়েছিল মহাকাশে।
গত ১৪ জুলাই শ্রীহরিকোটা মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র থেকে চন্দ্রযান-৩ যাত্রা শুরু করে। তারপরে ২৩ অগাস্ট চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামে চন্দ্রযান-৩। ভারত প্রথম যে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পা রাখল। এক কথায় ভারতের ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হয়ে থাকল এটি। চন্দ্রযান-৩র সাফল্য বিশ্বের মহাকাশ গবেষণায় ভারতকে অনেকটা এগিয়ে দিয়েছে।
চাঁদের মাটিতে ইতিমধ্যেই ভারতের চন্দ্রযান-৩ কাজ করতে শুরু করে দিয়েছে। প্রজ্ঞান চাঁদের মাটি থেকে একাধিক নমুনা সংগ্রহ করেেছ। তবে আপাতত ঘুমিয়ে পড়েছে সে। কারণ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে এখন রাত চলছে। যেটি ১৪ দিন ধরে থাকবে। তাই এখন আর কোনও কাজ প্রজ্ঞান করতে পারবে না। তাঁকে ঘুম পারিয়ে রাখা হয়েছে। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে আবার দিন ফিরলে কাজ করতে শুরু করবে প্রজ্ঞান।
কিন্তু এখন বিষয় হচ্ছে ঠিক মতো ঘুম ভাঙবে কিনা প্রজ্ঞানের। যদি ঘুম না ভাঙে তাহলে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে বরাবরের জন্য রয়ে যাবে প্রজ্ঞান এবং রোভার। ভারতের দূত হয়ে চাঁদের মাটিতে অবস্থান করবে তারা। চাঁদে মূলত জল এবং খনিজের সন্ধানেই গিয়েছে চন্দ্রযান-৩। চাঁদে বিকল্প আস্তানা তৈরির চেষ্টা করছে বিশ্বের একাধিক দেশ। চাঁদে যদি জলের সন্ধান পাওয়া যায় তাহলে সেই পথ আরও সুগম হবে।