শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের নামে দেউলটি স্টেশন
নিউজ ডেস্কঃ বাংলার অমর কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে হাওড়ার দেউলটি স্টেশনের যোগসূত্র সেই কবেকার। জীবনের মূল্যবান সময় তিনি কাটিয়েছেন হাওড়ার শেষ স্টেশন দেউলটি সংলগ্ন এলাকাতেই। সেই যোগসূত্র ধরেই দেউলটি স্টেশনের নামকরণ শরৎচন্দ্রের নামে করার দাবি উঠল। এবং সেই দাবিতে ডেপুটেশন দেওয়া হল ।
দেউলটি স্টেশন শরৎবাবুর নামে উৎসর্গ করার দাবি জানিয়ে শরৎচন্দ্রের জন্মদিনে দেউলটি স্টেশন মাস্টারের কাছে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। হাওড়ায় দক্ষিণ পূর্ব রেলের দেউলটি স্টেশন শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের নামে উৎসর্গ করার দাবিতে শুক্রবার শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিনে বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষ ডেপুটেশনে শামিল হন।
বাংলা সাহিত্যে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এক আবেগের নাম। হাওড়ার দক্ষিণ পূর্ব রেলের দেউলটি স্টেশন থেকে মাত্র চার কিলোমিটার দূরে সামতাবেড়ে দীর্ঘ বারো বছর কাটিয়েছিলেন এই কথাশিল্পী। এই স্টেশনে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি যাওয়ার জন্য পথ নির্দেশিকা ফলক হিসেবে যেমন লাগানো রয়েছে, তেমনি রয়েছে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের আবক্ষ মূর্তি।
এবার দাবি উঠেছে স্টেশনটিকে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের নামে করার জন্য। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য কিছুদিন আগেই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে এসে মাটি সংগ্রহ করে নিয়ে গিয়েছিলেন। সূচনা করেছিলেন ‘আমার মাটি, আমার দেশ’ কর্মসূচি।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি যাওয়ার ডেস্টিনেশন হিসাবে দেউলটি স্টেশনকে যাতে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের নামে করা হয়, এখন সেই দাবি বিভিন্ন মহল থেকেই উঠতে শুরু করেছে। শুক্রবার শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিনে এক সংস্থার পক্ষ থেকে দেউলটি স্টেশন মাস্টারের কাছে ডেপুটেশন দেওয়া হয়।
দেউলটি স্টেশনের নাম শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের নামে উৎসর্গ করার স্মারকলিপি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান স্টেশন মাস্টার। এখন দেখার বাঙালির আবেগকে সম্মান জানিয়ে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের নামে দেউলটি স্টেশনের নামকরণ হয় কি না।