রোহিত আবারও অধিনায়ক এর ভূমিকায়
নিউজ ডেস্কঃ শারদের প্রান্তে যখন ফুটে উঠেছে দেবীপক্ষের আলো তার আগে থেকেই আহমেদাবাদ ক্রিকেট স্টেডিয়াম এর চত্বরে ভিড় জমিয়েছেন ক্রিকেট প্রেমীরা,তার কারন আশা করি আপনাদের আর বলে দেওয়া লাগবেনা,এই মুহূর্তে আমরা সকলে জানি আহমেদাবাদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হয়ে গেলো ক্রিকেট দুনিয়ার সবথেকে বড় রাইভেলরি ভারত বনাম পাকিস্তান এর দীর্ঘ প্রতিক্ষিত বিশ্ব কাপ ২০২৩ এর প্রথম ভারত পাকিস্তান ম্যাচ।কিন্তু অবাক করার বিষয় হলো এটাই যে এই প্রতিখ্যিত ম্যাচ এর দিনেও ভরল না নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম এর আসন সংখ্যা (আসন সংখ্যা – ১ লক্ষ ৩৬ হাজার)। প্রতিযোগিতার শুরুটাই হয় ভারতীয় দের শুভ সংবাদ এর মাধ্যমে কারণ ,ডেঙ্গু সারিয়ে দলে ফিরলেন শুভমান গিল ।
টস জিতে ভারতীয় অধনায়ক রোহিত শর্মা বেছে নিলেন বল করার বিকল্প,প্রথম ওভারেই নামেন ভারতীয় প্লেয়ার জাসপ্রিত বুমরাহ এবং আবদুল্লাহ শফিক এমাম উল হক নামেন পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ওপেনার হিসাবে,১৩ ওভার শেষ হতে হতে এই দুই ওপেনার সিরাজ ও হার্দিক এর শিকার হয়ে ড্রেসিং রুমে ফিরে যায়,নামেন বাবর আজম( পাকিস্তানি অধিনায়ক) তিনিও সিরাজের বলে উইকেট হারিয়ে ৫০ রানে ফিরে যায় ড্রেসিং রুমে। পাকিস্তান ৩০ ওভারে ১৫৭ রানে ৩ টি উইকেট এবং ভারতীয় দুই প্লেয়ার সিরাজ ও হার্দিক এই তিন টি উইকেট নিয়েছেন। এ ছাড়াও সমস্ত ভারতীয় বোলার দের প্রদর্শন শোভনীয়। তার পরেই একের পর এক পাক ব্যাটার ফিরে যায় ড্রেসিং রুমের দিকে ।
সাউদ শাকিল ও ইফতেখার আহমেদ কে দশ রানের বেশি করার আগেই কুলদীপ তার স্পিন এর জালে ফাঁসিয়ে আউট করেন এই দুই পাক ব্যাটার কে । এর পরেই শুরু হয় বুমরাহ এর স্পীড এর খেলা পাক ব্যাটসম্যান তাও সামলাতে না পেরে শাদাব খান ও ৪৯ রানে থাকা মোহাম্মদ রিজওয়ান নিজেদের উইকেট হারিয়ে ড্রেসিং রুমের দিকে রওয়ানা হয়। শাদব খান মাত্র দুই রান করে আউট হন।মোহাম্মদ নাবাজ মাত্র ৪ রান করে হার্দিক পাণ্ডের কাছে নিজের উইকেট হারিয়ে ড্রেসিংরুমের দিকে এগিয়ে যায় । এখনো পর্যন্ত উইকেট না পাওয়া জাদেজা বল করতে আসেন এবং ততক্ষনে
পাকিস্তানের ৮ টি উইকেট নিয়েছেন ভারতীয় বোলাররা ,ততক্ষনে পাকিস্তানের স্কোর ১৮৭ রানে ৮ উইকেট,ভারতের মাত্র আর দুটি উইকেট এর প্রয়জন ছিলো পাকিস্তান কে ২০০ এর গণ্ডির মধ্যে আটকানোর জন্য। সমস্ত ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের আশার মান রখে স্যার জাদেজা তার স্পিনের জাদুতে হাসান আলি (১৯ বলে ১২ রান) ও হ্যারিস রউফ (৬ বলে ২ রান ) আউট হন ,তারই সঙ্গে পাকিস্তানের ব্যাটিং শেষ হয়,পাকিস্তান এর মোট রান দুশ পার হবার আগেই পাকিস্তান অল-আউট হয়ে যায়।
স্কোর ৪২.৫ ওভারে১৯১ রান ১০ উইকেট ।
এ বার ভারতীয় দলের ব্যাট হাতে এই রানের জবাব দেওয়ার ছিলো ,ভারতীয় ওপেনার হিসাবে অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও শুভমান গিল নেমে দুর্দান্ত ব্যাটিং শুরু করেন কিন্তু দুজনের জুটি বেশিক্ষণ টিকলো না পাকিস্তানের স্টার পেশার বলার শাহিনশা আফ্রীদির বলে সাদাব খানের হাতে ক্যাচ তুলে মাত্র ১১ বলে ১৬ রান করে আউট হন শুভমান , এর পরেই মাঠে পা রাখেন ভারতীয় ক্রিকেটের হৃদয় কিং কোহলি কিন্তু তিনিও বেশিক্ষণ মাঠে থাকতে পারেননি তিনি রোহিত শর্মার সঙ্গে ছোট্ট একটি পার্টনারশিপ করে প্যাভিলিয়নে ফেরত যান তিনি , ১৮ টি বলের সম্মুখীন হয়ে ১৬ রান করে মোহাম্মদ নবাজ এর কাছে একটি অপ্রত্যাশিত ক্যাচ তুলে দিয়ে আউট হন তিনিও। ভারতীয় দুই ব্যাটসম্যানযখন নিজেদের উইকেট খুইয়েছেন তখন ক্রিজের এক প্রান্তে অনড় ভাবে দাঁড়িয়ে নিজের হাফ সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে চলেছেন ভারতীয় অধিনায়ক , এরপরেই রোহিত কে সহযোগিতা করতে মাঠে আসেন শ্রেয়াস আইয়ার । দুজনে মিলে সুন্দর একটি পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন, আফসোসের বিষয়ে একটাই যখন মনে হচ্ছিল পরপর দুটি ম্যাচেই শতক পুরো করবেন ভারতীয় অধিনায়ক।
সাইন আফ্রিদির একটি সলোয়ার বলে উঠিয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন তিনি। অধিনায়ক আউট হওয়ার পরেও সামলে রাখেন শ্রেয়াস ও কে এল রাহুল। শ্রেয়াস নিচের অর্ধশত রান পূর্ণ করেন ও নট আউট থাকেন তার সঙ্গে রাহুল ২৯ বলে ১৯ রান করে নট আউট থাকেন ।সঙ্গে ভারত ৭ উইকেটে ম্যাচটি জিতে নেয়, যদিও বা ম্যাচটি এক তরফাই ছিল, পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের কোন প্রকার ছাড় দেয়নি ভারতীয় তারকারা। একদিনের ওয়ার্ল্ড কাপ ম্যাচে ভারত আটবার হারালো পাকিস্তানকে। এদিনের ম্যান অব দ্যা ম্যাচ অ্যাওয়ার্ড জিতে নিলেন জসপ্রীত বুমরাহ। ৭ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে ২ টি উইকেট নিয়ে নেন তিনি। ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে পাকিস্তান কি কখনো হারাতে পারবে,আর নাকি ভারতের এই বিজয় রথ এভাবেই চলতে থাকবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ।