হেলমেট বিহীন অধীরের বুলেট ছুটেছে দুরন্ত গতিতে
নিউজ ডেস্কঃ ভারতের পথ পরিবহন ব্যবস্থা এখন অনেক উন্নতি হয়েছে। হয়ে চলছে নতুন নতুন রাস্তা। ফলে মানুষের গতি বেড়েছে অনেক । বাংলা পেলো আরো একটা নতুন রাস্তা। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের মেহেদীপুর থেকে বলরামপুর বহরমপুরের বাইপাস রাস্তার কাজ চলছিল দীর্ঘদিন থেকে। সদ্য একটি লেনের কাজ শেষ হয়েছে বলে খবর। পুজোর মুখে বহরমপুরবাসীকে নতুন উপহার দিতে শনিবার থেকেই খুলে দেওয়া হয়েছে সেই একটি লেন। সেখানেই এদিন বুলেট নিয়ে দৌড়ে বেড়াতে দেখা গেল অধীর চৌধুরীকে । খাতায়-কলমে রাস্তাটির এদিন তিনি উদ্বোধনও করলেন। অধীর চৌধুরী একজন সাংসদ। তাঁকে এভাবে রাস্তার আইন ভেঙে হেলমেট বিহীন বাইক চালাতে দেখে অনেকেই বলছেন, এটা সাংসদের উপযোগী কাজ নয়। এর আগে আমরা দেখছিলাম ২০১২ সালে কামদুনিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেলমেট ছাড়াই একজনের বাইকের পিছনে চড়ে যাচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী হোক বা অধীর চৌধুরী হোক এই কাজকে কোনো মানুষই সমর্থন করবেন না।
একেবারেই সকালেই বেশ ফুরফুরে মেজাজে অধীর চৌধুরী বুলেট চালাচ্ছেন। পিছনে বসে আছেন একজন। এমনকী বাইপাসে উঠে স্টান্টও করতে দেখা গেল তাঁকে। যদিও হাতে বুলেট থাকলেও, মাথায় দেখা গেল না হেলমেট। যা নিয়ে প্রশ্ন করতে শুরু করেছেন কেউ কেউ।
প্রসঙ্গত, এই বাইপাস তৈরির ফলে উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গে যাতায়াত আগের থেকে অনেকটাই সুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বহরমপুর শহরের ভিতর দিয়ে সিঙ্গেল লেনের একটি রাস্তা রয়েছে। কিন্তু, সেটি দিয়ে গেলে প্রায় ১০ কিলোমিটার অতিরিক্ত পড়ে যেত। যানজটও হত বিস্তর। কিন্তু, নয়া বাইপাসের হাত ধরে সময় ও কিলোমিটার দুই বাঁচবে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, রাস্তাটির কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৩ সালে। জমি জটের কারণে মাঝে বেশ কয়েকবার কাজ আটকে যায়।