হামাসের টানেলে ‘স্পঞ্জ বোমা’ মারার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইজরাইল
নিউজ ডেস্কঃ যুদ্ধ শুধু মৃত্যু নিয়ে কারবার করে। এই প্রতিযোগিতায় যে যত মানুষকে হত্যা করতে পারবে সেই পাবে বিজয়ীর শিরোপা। সেই প্রতিযোগিতায় প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে লড়াই করে চলেছে ইজরাইল ও ফিলিস্থানিরা। এবার আসলো নতুন খবর। গাজা উপত্যকায় স্থল হামলা শুরু করেছে ইসরাইল। গাজা সীমান্তের কাছাকাছি অপেক্ষা করছে তিন লাখেরও বেশি সেনা। সেখান থেকেই রাত নামলেই হামলা পরিচালনা করছে ইসরাইলের ট্যাঙ্ক ও পদাতিক বাহিনী। রোববার রাতেও হামাসের ৪৫০ টার্গেটে হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি সেনারা। সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিরোধ করছে হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসেম ব্রিগেডও। তবে ইসরাইল বলছে, এখনো স্থল হামলা জোরদার করেনি সেনারা। বিশ্লেষকরা বলছেন, এর অন্যতম কারণ হতে পারে মাটির নিচে হামাসের ৫০০ কিলোমিটারের গোপন টানেল। ইসরাইলের বর্বর সেনাদের মোকাবিলায় গত কয়েক দশক ধরেই দুর্বোধ্য এই টানেল নেটওয়ার্কের সৃষ্টি করেছে মুক্তিকামী সংগঠনটি। এবার সেই টানেলের দিকেই এগোতে চাইছে ইজরাইল।
ইজরাইলের সহযোগী শক্তি আমেরিকা। আর ফিলিস্তানের সহযোগী শক্তি ইরান। ফলে যুদ্ধ হতে চলেছে আরো ভয়ঙ্কর। ব্রিটিশ দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফ বলছে, কাসেম ব্রিগেডের ‘ক্যান্টনমেন্ট’ হিসাবে ব্যবহৃত হামাসের এই গোপন টানেলে এবার ‘স্পঞ্জ বোমা’ হামলা চালাবে ইসরাইল। হামাসের এই সুড়ঙ্গদুর্গ ধ্বংসেই এই বোমা বানিয়েছে তেল আবিব। স্পঞ্জ বোমায় সাধারণত কোনো বিস্ফোরক থাকে না। তবে বন্ধ করবে টানেলের মুখ। আটকে পড়বে ভেতরে থাকা হামাসের সেনারা। সে এক ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটতে পারে। স্পঞ্জ বোমা দুই ধরনের তরল পদার্থ দিয়ে তৈরি। তরল পদার্থগুলো থাকে একটি প্লাস্টিকের ব্যাগে। একটি লোহার প্রতিবন্ধক দিয়ে পদার্থ দুটিকে আলাদা করে রাখা হয়। বোমাটি সক্রিয় করা হলে দুটি তরল একসঙ্গে মিশে যায়। শুরু হয় রাসায়নিক বিক্রিয়া। বিক্রিয়ার ফলে ফোমের মতো এক ধরনের যৌগের তৈরি হয়, যা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আর পরবর্তী সময়ে তা শক্ত হয়ে যায়। আর এই শক্ত হয়ে যাওয়া পদার্থই বন্ধ করে দেয় টানেলের মুখ। এই মুহূর্তে রাষ্ট্রসংঘের উচিত যেভাবে হোক এই হত্যালীলা বন্ধ করা।