জেরায় সব প্রশ্নের সাবধানী জবাব জ্যোতিপ্রিয়র
নিউজ ডেস্কঃ রেশন বন্টন দুর্নীতির সঙ্গে কতটা জড়িয়ে রয়েছেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক? বাকিবুর রহমানের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতার কথা জানা গিয়েছে। কিন্তু মন্ত্রী সেই সম্পর্কে কতটা মুখ খুলবেন? তাই নিয়েই জল মাপছেন ইডি আধিকারিকরা।
মন্ত্রীকে জেরা করা হচ্ছে। কয়েক ঘন্টা জেরা। তারপর বিশ্রাম, খাওয়া-দাওয়া। এরপর আবার জেরা। এই রুটিনেই আধিকারিকরা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে প্রশ্ন করছেন। বাকিবুর বেশ কিছু তথ্য আধিকারিকদের কাছে দিয়েছেন। ছটি সংস্থায় টাকা লগ্নির কথাও জানা গিয়েছে। এইসব কিছুর সঙ্গে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কতটা জড়িয়ে রয়েছেন?
এই দুর্নীতি প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর মস্তিষ্কপ্রসূতে কতটা হয়েছে? তারই আঁচ পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা। মন্ত্রী গত দুদিনের জেরায় অনেক সাবধানে উত্তর দিয়েছেন। তিনি যে সহজে মুখ খুলবেন, এমন বিষয় নয়। বাড়িতে তল্লাশির সময় থেকেই মন্ত্রী তদন্তকারীদের সঙ্গে সহযোগিতা করছেন না। এই কথা ইডির তরফে আদালতেও জানানো হয়েছে। মন্ত্রীর এত বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি কীভাবে হল?
এত পরিমাণ টাকা কখনও কি এই কম সময়ের মধ্যে করা সম্ভব? তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যে ছটি সংস্থার কথা জানা গিয়েছে, সেখানে ডিরেক্টর পদে তার পরিবারের সদস্যরা ছিলেন। কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি কীভাবে মল্লিক পরিবারে এল! এই তথ্য এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে কেবল বাকিবুর রহমান কি যুক্ত? না কী আরও একাধিক ব্যবসায়ী জড়িয়ে রয়েছে?
চালকল মালিকদের থেকে চাল কেনা, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সময় শুরু হয়েছিল। সেখানে কতটা সুযোগ-সুবিধা পাইয়ে দিয়েছিলেন মন্ত্রী? কতটা টাকার গরমিল থাকতে পারে? সেইসব বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। গোটা উত্তর ২৪ পরগনা জুড়ে বাকিবুর রহমান কার্যত ছড়ি ঘোরাতেন। নদিয়াতেও তার যথেষ্ট দাপট ছিল। কিন্তু কেবল বাকিবুরে এই দুর্নীতি সীমাবদ্ধ নেই। একথা বিশ্বাস করছেন তদন্তকারীরা।
মন্ত্রীর তরফ থেকে কোন সূক্ষ্ম ইঙ্গিত পাওয়ার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। তাহলে নতুন মোড় আসতে পারে তদন্তে। এই কথাও আন্দাজ করা হচ্ছে। ১০ দিনের ইডি হেফাজত হয়েছে রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। আর এক সপ্তাহ বাকি রয়েছে। এরপরেই আদালতে শুনানি হবে। গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রমাণ ও বয়ান আদালতের সামনে ইডির তদন্তকারীদের রাখতেই হবে। সে কোথাও ভাবাচ্ছে আধিকারিকদের।
বাকিবুর রহমানের সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে কি জেরা করানো হবে? বাকিবুরের দেওয়া তথ্য মন্ত্রীর সামনে ফেলে রাখা হবে কি? এই বিষয়ে এখনও কোনও ইঙ্গিত ইডির তরফে দেওয়া হয়নি। তবে মন্ত্রীর থেকে কথা বার করতেই হবে। এই সিদ্ধান্তে অটুট সিজিও কমপ্লেক্স।