হাওড়ার লাউঞ্জে করা যাবে মিটিং
নিউজ ডেস্কঃ ৮৪৮.৯৭ বর্গ মিটার জুড়ে এক্সিকিউটিভ লাউঞ্জ তৈরি হল হাওড়া স্টেশনে। ভারতের অন্যতম ব্যস্ততম স্টেশনের মধ্যে একটি এই স্টেশন। প্রত্যেকদিন কয়েক লাখ মানুষ হাওড়া স্টেশন থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে যাচ্ছেন। একই ভাবে বিভিন্ন ট্রেন ধরে হাওড়ায় আসছেন বহু মানুষ। দিন-রাত ব্যস্ত হাওড়া স্টেশন।
যাত্রীদের সুবিধার কথা ভেবেই এক্সিকিউটিভ লাউঞ্জ তৈরি হল এই স্টেশনে। হাওড়া রেলওয়ে স্টেশনের (Howrah Railway Station) নতুন কমপ্লেক্সে এই এক্সিকিউটিভ লাউঞ্জ তৈরি হয়েছে। একেবারে বিলাসবহুল ভাবে এই লাউঞ্জ তৈরি করা হয়েছে। যেমন রয়েছে আধুনিক এবং আরামদায়ক বসার জায়গা, তেমন বিশ্রামের জন্য এসি ওয়েটিং হল, কনফারেন্স রুমের মতো ব্যবস্থা।
যেখানে যে কোনও মিটিং মুহূর্তে সেরে ফেলা যাবে। শুধু তাই নয়, শিশুদের জন্যেও আলাদা ব্যবস্থা (Howrah Railway Station) রাখা থাকছে। পাশাপাশি পুরুষদের জন্য 8 শয্যাবিশিষ্ট ডরমিটরি এবং মহিলাদের জন্য ৫ শয্যা বিশিষ্ট ডরমিটরির ব্যবস্থা। সংযুক্ত টয়লেট এবং আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সহ এসি ডিলাক্স রুম, ল্যাপটপ স্টেশন, পুরুষ এবং মহিলাদের জন্যে আলাদা টয়লেট এবং স্নানের সুবিধাও থাকছে আধুনিক এই এক্সিকিউটিভ লাউঞ্জে।
আর পরিষেবা নিতে গেলে একেবারেই নামমাত্র টাকা খরচ করতে হবে। অন্যদিকে বিশাল ফুড কোর্টও তৈরি করা হয়েছে। যেখানে খুবই সস্তায় খাবার পাওয়া যাবে। সম্প্রতি এই এক্সিকিউটিভ লাউঞ্জের উদ্বোধন হয়েছে। অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় বন্দর, নৌপরিবহন ও নৌপথ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় সংসদ সদস্য লকেট চট্টোপাধ্যায় সহ রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও। বিলাসবহুল এই এক্সিকিউটিভ লাউঞ্জের উদ্বোধনের পাশাপাশি বাপু উদ্যানে একটি পরিত্যক্ত কোচকে একটি সমসাময়িক এবং আরামদায়ক রেস্টুরেন্টে রূপান্তরিত করা হয়েছে। সেটিরও উদ্বোধন করা হয়েছে। ওই রেস্টুরেন্টে খুবই সস্তায় খাওয়াদাওয়া করা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, অমৃত ভারত স্কিমের মাধ্যমে দেশের একাধিক স্টেশনকে আধুনিক মানের গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে মোদী সরকার। আর এই স্কিমের আওতায় রয়েছে বাংলার বহু স্টেশন। শিয়ালদহ, ক্যানিং সহ একাধিক স্টেশনের কাজ একেবারে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে।
আর এর মধ্যেই হাওড়া স্টেশনকেও (Howrah Railway Station) সময়পযোগী আধুনিক গড়ে তোলার কাজে হাতে দিল ভারতীয় রেল। বিশাল এই লাউঞ্জে থাকা সুবিধা বিশেষ করে দূরপাল্লার যাত্রীদের কাছে মুসকিল আসান হবে বলেই মনে করছে রেলওয়ে।