জামাইবাবু ধর্ষণ করলো তার শালীকে।
স্নেহা দত্ত:- আমরা প্রতিদিন সকালে খবর পড়লে একটাই কমোন জিনিষ চোখে পড়ে সবার, সেইটা হলো নারী নির্যাতন।
এই সমাজে আজও হয়ে চলেছে নারী শিশু পাচার, নারীদের ওপর অত্যাচার, নাবালিকা ও নারী ধর্ষন।আবারো এই ধরনের জঘন্য ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে রায়গঞ্জে। এই ১০ বছরের নাবালিকার মায়ের না থাকার সুযোগে এমন ঘটনা ঘটে।
ধর্ষণের অভিযোগ জেঠতুতো জামাইবাবু বিরুদ্ধে। খাবারের লোভ দেখিয়ে নিয়ে গিয়ে জামাইবাবু তার ১০ বছরের শালীকে রেপ করেন তাদের বাড়ির ছাদে। হঠাৎ একদিন সন্ধ্যাবেলায় পেটে যন্ত্রণা বলে জানায় ওই বালিকা তার মাকে। মা কারণ জানতে চাইতেই কেঁদে উঠল বছর দশেকের নাবালিকা। তারপর উঠে এল আসল কাহিনি। তার মায়ের ঘরে না থাকার সুযোগ নেয়। তাদের পাশের বাড়িতে থাকতো ওই মহিলার ভাসুরের মেয়ে এবং স্বামী। ওই নাবালিকা তার মা এবং পিসির সাথে থাকে। রোজকার মতোন তার মা সকাল সাড়ে ১০টায় তিনি কাজে যান হাসপাতালে। আর, তার পিসি যেতো স্কুলে মিড ডে মিলের রান্নার কাজ করতে।
প্রথমে তার শরীরের বিভিন্ন অংশে হাত দেয় এবং ধর্ষণ করে বলে রায়গঞ্জ মহিলা থানায় দায়ের করে লিখিত অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছে নাবালিকার পরিবার। এদিন জঘন্যতম ঘটনার কথা জানাজানি হতেই স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাহলে ভেবে দেখুন একবার আজকাল কার দিনে নিজের বাড়িতেও কেউ সেফ নেই। রায়গঞ্জ জেলা আদালতে অভিযুক্তকে এদিন আদালতে পেশ করা হয়। এই মামলায় নির্যাতিতার শারীরিক পরীক্ষার পাশাপাশি ১৬৪ ধারায় তার গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। ৬ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।