“এক কোটি মানুষকে পঞ্চায়েতে ভোট দিতে দেয়নি তৃণমূল, বিজেপির সভাকে ভয় পাচ্ছে”: শুভেন্দু

0 0
Read Time:4 Minute, 21 Second

নিউজ ডেস্কঃ বাংলায় বঞ্চিত মানুষদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। রাজ্য সরকারি কর্মচারী থেকে বৃদ্ধরা এই বঞ্চিতদের তালিকা ক্রমশ দীর্ঘ হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের শাসন জমানায়। সেই বঞ্চিতদের নিয়েই এবার ধর্মতলার সভা হবে। এমন কথাই বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পঞ্চায়েত নির্বাচনে এক কোটি মানুষকে রাজ্যের শাসক দল ভোট দিতে দেয়নি।

রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে রীতিমতো কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছিল শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। ফের সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন করলেন শুভেন্দু অধিকারী। রিগিং করে শাসক দল রাজ্যের পঞ্চায়েত দখল করেছে। বুঝিয়ে দিলেন শুভেন্দু। রাজ্যে ক্রমশ বঞ্চিতদের সংখ্যা বাড়ছে। বার্ধক্য ভাতার জন্য সরকারিভাবে ১২ লক্ষ ৬৫ হাজার মানুষ আবেদন করেছেন এই রাজ্যে। এই সংখ্যা আরও অনেক বাড়বে। এমন ইঙ্গিত করছেন তিনি।

তৃণমূল জমানায় বঞ্চিতদের সংখ্যা ক্রমশ দীর্ঘতর হচ্ছে। সরকারি কর্মী থেকে গ্রামের সাধারণ মানুষ, শিক্ষক চাকরি প্রার্থীরা বঞ্চিত। কীভাবে এই তালিকা ছোট করা যায়? সেদিকেও কোনও লক্ষ্য নেই। এই অভিযোগ উঠছে বিরোধীদের পক্ষ থেকেই। ২৯ তারিখের ধর্মতলায় বিজেপির সভা রয়েছে। সেই সভা ঘিরে চূড়ান্ত প্রস্তুতি রাজ্যের গেরুয়া শিবিরে। বিভিন্ন অংশের বঞ্চিত মানুষরা ওই সভায় উপস্থিত থাকবেন। এমন দাবি বিজেপি শিবিরের।

ইতিমধ্যেই ব্যান্ডেলে হুমকি পোস্টার দেখা গিয়েছে। বিজেপির সভায় গেলে এলাকা ছাড়া করা হবে। এই পোস্টার দেখা গিয়েছে রবিবার সকালে। শুভেন্দু অধিকারী জানান, তৃণমূল কংগ্রেস ভয় পাচ্ছে। একদিকে তৃণমূল নেতৃত্ব বলছেন বিজেপি ভোট পাবে না। অন্যদিকে, পুলিশ প্রশাসন দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে। সভা বন্ধ করতে কলকাতা হাইকোর্টে যেতে হচ্ছে।
সভা বানচাল করার জন্য একাধিক অভিসন্ধি রাজ্যের শাসক দল করতে পারে। সভায় বেশি সংখ্যায় মানুষ যাতে আসতে না পারে, সেজন্য তৃণমূল কোনও না কোনও পরিকল্পনা নেবে। এমন আশঙ্কা শুভেন্দু অধিকারী ও অন্যান্য দলীয় নেতৃত্ব আশঙ্কা করছেন। তবে মানুষ ধর্মতলায় উপস্থিত হবেন। সে কথা জোর গলায় দাবি করা হচ্ছে।

বিভিন্ন জেলায় দলীয় নেতৃত্ব প্রচার চালাচ্ছেন। ২৯ তারিখের সভার প্রচার চলছে জোরকদমে। মানুষ সক্রিয়ভাবে সভায় যাওয়ার জন্য সাড়া দিচ্ছেন। এমন দাবি করছেন, শুভেন্দু অধিকারী। জেলাগুলি থেকে সাধারণ মানুষ আসবে। রাস্তায় বাস আটকে দিতে পারে। যত বেশি বাধা আসবে, তত মানুষ সংঘটিত হবে। এমন দাবি শুভেন্দু অধিকারী করেছেন।

জেলাগুলি থেকে পর্যাপ্ত ট্রেনের ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও মানুষ যাতে ধর্মতলায় আসতে পারে, তার ব্যবস্থাও চলছে। কলকাতা ও আশেপাশের এলাকায় যাদের আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি আছে। সেখানে তারা চলে আসবেন। আগের দিন রাত থেকেই মানুষ কলকাতায় এসে উপস্থিত হবে। এই দাবি করা হচ্ছে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!