টানেলে কীভাবে আটকা পড়েছিলেন ৪১ জন শ্রমিক ?
নিউজ ডেস্কঃ মঙ্গলবার সকালে উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারা টানেলে খননের কাজ শেষ হয়েছে। গত ১৭ দিন ধরে সেখানে আটকে রয়েছে ৪১ জন শ্রমিক। উদ্ধারকারীদলের আশা কিছুক্ষণের মধ্যে শ্রমিকদের সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হবে। একবার দেখে নেওয়া যাক ১৭ দিন আগে ঠিক কী হয়েছিল।
গত ১২ নভেম্বর, দীপাবলির দিন উত্তরকাশীর সিল্কিয়ারা টানেলে অন্যদিনের মতোই কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে সেখানে হঠাৎ করে ভূমিধস শুরু হয়। সেই পরিস্থিতিতে অনেক শ্রমিক বাইরে বেরিয়ে যেতে সক্ষম হন। সেই সময় নির্মাণাধীন টানেলের প্রায় ৬০ মিটার অংশ ধসে পড়ে। আর সেই থেকেই ভিতরে আটকা পড়ে যান ৪১ জন শ্রমিক।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে শ্রমিকরা আটকে পড়েছিলেন, তা ছিলেন ভিতরের দিকে। যে দিকে তারা আটকে পড়েছিলেন, তার প্রায় দুহাজার তিনশো মিটার অংশের কাজও শেষ হয়ে গিয়েছে। তারই মধ্যে প্রায় ষাট মিটার অংশ ধসে পড়ে। সব আবহাওয়ায় চারধাম যাত্রা জন্য ৫০ ফুট চওড়া ও দুই কিমি লম্বা টানেল তৈরি করা হচ্ছে।
ভিতরে আটকে পড়ার পর থেকে প্রশাসনের তরফে শ্রমিকদের চাপমুক্ত রাখতে বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়।
সময় কাটাতে এবং শ্রমিকদের মন অন্যদিকে ব্যস্ত রাখতে সুরঙ্গের ভিতরে দাবা, তাস ও লুডো পাঠানো হয়।
চাপমুক্ত করতে শ্রমিকদের ব্যায়াম করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
প্রশাসনের তরফে শ্রমিকদের কাছে ফোনও পাঠানো হয়, যাতে তাঁরা পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। শ্রমিকরা পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথাও বলেন।
গত শনিবার ২৬ নভেম্বর শ্রমিকদের চাপ মুক্ত রাখতে গেম খেলার জন্য মোবাইল পাঠানো হয়।
শ্রমিকদের জন্য শুধু সিল্কিয়ারা টানেনের মুখেই নয়, সারা দেশ জুড়ে প্রার্থনা হয়েছে গত কয়েকদিন ধরে। হয়েছে যজ্ঞও। আটকে পড়া ৪১ জন শ্রমিক দেশের বিভিন্ন অংশ থেকে সেখানে কাজে গিয়েছিলেন। দেশের আট রাজ্য থেকে শ্রমিকরা সেখানে গিয়েছিলেন।
এর মধ্যে সব থেকে বেশি ১৫ জন শ্রমিক রয়েছেন ঝাড়খণ্ড থেকে। তারপর উত্তর প্রদেশ থেকে আটজন, ওড়িশা ও বিহার থেকে রয়েছেন পাঁচজন করে। পশ্চিমবঙ্গের তিনজন। উত্তরাখণ্ডের শ্রমিক রয়েছেন দুজন। হিমাচল প্রদেশের এক ও অসমের দুজন শ্রমিক রয়েছেন।