ধর্মতলা চত্বরে কড়া নজরদারি

0 0
Read Time:4 Minute, 31 Second

নিউজ ডেস্কঃ কলকাতার ধর্মতলা চত্বরে আজ অমিত শাহের সভা। বিজেপি কর্মী সমর্থকরা রীতিমতো ফুটছেন। সকাল থেকেই শিয়ালদহ ও হাওড়া স্টেশনে সাধারণ কর্মী সমর্থকরা হাজির। তাদের অভ্যর্থনা জানানোর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে।

হাওড়া স্টেশনে সকালে পৌঁছে গিয়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। দূরের জেলাগুলি থেকে আসা কর্মী সমর্থকদের বিশ্রামের ব্যবস্থা করা হয়। খাবারদাবারের ব্যবস্থা করা হয় তাদের জন্য। শিয়ালদহ ও হাওড়া স্টেশনের বাইরে বসিয়ে খাওয়ানোর আয়োজন হয়েছে।

সেখানে কর্মী সমর্থকরা খাওয়া-দাওয়া করেছেন। ভাত ডাল সবজি ও চাটনি মেনুতে ছিল। হাওড়া থেকে সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে মিছিল ধর্মতলার উদ্দেশ্যে যাবে। শিয়ালদহ থেকে মিছিলের নেতৃত্ব দেবেন শুভেন্দু অধিকারী। গোটা ধর্মতলা চত্বর মানুষের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে। এমনই মনে করছে গেরুয়া শিবির।

তৃণমূল কংগ্রেস বাংলার শাসন ক্ষমতায় রয়েছে। রাজ্যে এক অনাচার চলছে। সেই অনাচারকে এবার উপড়ে ফেলা হবে। তারই ডাক দেওয়া হবে এই মঞ্চ থেকে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঠিক করে দেবেন আন্দোলনের গতিপথ। এমনই দাবি করছেন বিজেপি নেতৃত্ব।
রাজ্যের মানুষ বঞ্চনার শিকার। চাকরি থেকে শিক্ষা, বিভিন্ন ক্ষেত্রে হাজার হাজার মানুষ বঞ্চিত হয়ে পথে আন্দোলন করছে। সরকারি কর্মীরা ডিএ না পেয়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালাচ্ছেন। প্রত্যেককে এক ছাতার নীচে আনতে মরিয়া রাজ্যের গেরুয়া শিবির।

ধর্মতলা চত্বরে একাধিক বাক্স রাখা হয়েছে। বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়েছেন, এগুলি বঞ্চনা বাক্স। এখানে সাধারণ মানুষ তাদের বঞ্চনার কথা জানাবেন। মঞ্চেও একটি বাক্স থাকবে। সেইসব বাক্সের চিঠি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কাছে পৌঁছে যাবে। কেন্দ্রের একাধিক প্রকল্প রাজ্যে চালানো হয় না। সাধারণ মানুষ সেইসব প্রকল্পের সুফল পেতে পারেন না। সেই বঞ্চনার তালিকা এবার সাধারণ মানুষের কথায় প্রকাশ পাবে।
কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে সরাসরি পৌঁছে যাবে সাধারণ বঞ্চনাভোগী রাজ্যের মানুষের বক্তব্য। যদিও অমিত শাহের সভাকে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস তেমন কোনও গুরুত্ব দিচ্ছে না। এমনই দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের। অমিত শাহ সভায় কলকাতায় আসছেন। রাজ্যের দাবি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরা হবে। সেজন্য তৃণমূলের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়া ক্যাম্পেন শুরু হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও কলকাতা শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় এক রাতের মধ্যেই প্রচুর সংখ্যায় ফ্লেক্স ব্যানার লাগানো হয়েছে।

১০০ দিনের কাজের টাকা রাজ্য সরকার চেয়েও পাচ্ছে না। আবাস যোজনার টাকাও বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র। তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যে যতবার আসবেন, তত বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল বাড়বে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!