ইলেকট্রিক্যালে ডিপ্লোমা ভিন রাজ্যে টানেল শ্রমিক!
নিউজ ডেস্কঃ একচল্লিশ জন শ্রমিক সতেরো দিন আটকে থাকার পরে মঙ্গলবার রাতে বেরিয়ে এসেছেন। এঁদের মধ্যে রয়েছেন বাংলার তিনজন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন হুগলির পুরশুড়ার সৌভিক পাখিরা। বন্দি দশা থেকে মুক্তির পরে সৌভিক মায়ের সঙ্গে কথা বলেছে। মা এখন অপেক্ষায় কবে ছেলেকে সামনে থেকে দেখবেন।গত ১৭ দিন ধরে পরিবারগুলি ছিল উৎকণ্ঠায়। উত্তরবঙ্গের মানিক তালুকদারই হোক কিংবা দক্ষিণবঙ্গের সৌভিক পাখিরা, সবার পরিবারের আক্ষেপ, বাংলায় কাজ নেই। থাকলে বাইরে যেতে হত না।
মঙ্গলবার রাতে মুক্তির পরে মায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন সৌভিক। সে কথা সৌভিকের মা জানিয়েছেন সংবাদ মাধ্যমকে। তিনি জানিয়েছেন ছেলেকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন কেমন আছে? সে জানিয়েছে ঠিক আছে। তাঁদের দলের সবাই ঠিক রয়েছে। বুক থেকে পাথর নেমে গেল বলেও জানিয়েছেন তিনি।ছেলে কি ফের উত্তরাখণ্ডে যাবে? তাঁকে কি সেখানে যেতে দেবেন? এই প্রশ্নের উত্তরে সৌভিক পাখিরার মা জানিয়েছেন, ছেলে বড় হয়েছে। তাঁর ইচ্ছাই শেষ। সে যদি আবার যেতে চায় যাবে। তিনি আক্ষেপের সুরে বলেন, বাংলায় কাজ নেই বলেই বাধ্য হয়ে বাইরে যেতে হয়েছে। তিনি চান, ছেলে বাংলাতেই থাকুক।
তিনি জানিয়েছেন, ছেলে ইলেকট্রিক্যালে ডিপ্লোমা করেছে। তারপরে চাষ করে সংসার চলে না। তাই উত্তরাখণ্ডে গিয়েছে। সেখানে তাঁর বেতন ১৫ হাজার থেকে বেড়ে কুড়ি হাজার টাকা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের কাছে সৌভি.কের মায়ের আবেদন ছেলে যেন এখানে কাজ পায়।কোচবিহারের তুফানগঞ্জের মানিক তালুকদারও সুড়ঙ্গে বন্দিদশা কাটিয়েছেন ১৭ দিন। তাঁর পরিবারের গলাতেও একই আক্ষেপ। রাজ্যে যদি কাজ থাকত, তাহলে মানিক বাইরে যেত না।
সৌভিক-মানিকদের পরিবারের মন্তব্যকেই হাতিয়ার করছে বিরোধী শিবির। তারা বাংলায় মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসংস্থানের দাবি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। প্রসঙ্গত মাত্র এক সপ্তাহ আগে সপ্তম বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, যেখানে দেশে কর্মসংস্থান ৪০ শতাংশ কমেছে, সেখানে বাংলায় কর্মসংস্থান ৪২ শতাংশ বেড়েছে। উত্তরাখণ্ডে আটকে পড়া শ্রমিকদের এই ঘটনা মুখ্যমন্ত্রীর দাবির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে বলেই মনে করছেন বিরোধীরা।