সরকারের প্রতি তীব্র ক্ষোভ শুভেন্দু অধিকারীর

0 0
Read Time:4 Minute, 19 Second

নিউজ ডেস্ক : লক্ষ কন্ঠে গীতা পাঠ হওয়ার কথা রয়েছে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে। রাজ্য রাজনীতিতে বিজেপির এটি একটি অন্যতম বড় কর্মসূচি। তবে এবারেও সেই কর্মসূচি ঘিরে তৈরি হল রাজনৈতিক টানাপোড়েন। ২৪ ডিসেম্বর টেট পরীক্ষার দিন নির্ধারিত হয়েছে। ফলে রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে শাসক বিরোধী তরজা।

বৃহস্পতিবার রাজ্য বিধানসভায় একইভাবে হইচই স্লোগানিং হয়েছে। তবে সব কিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে গীতাপাঠ বনাম টেট পরীক্ষা ইস্যু। রীতিমতো রাজ্য সরকারকে এই বিষয়ে কাঠগড়ায় তুলেছেন বিজেপি বিধায়করা। ইচ্ছে করে ওই দিন টেট পরীক্ষা ফেলা হয়েছে। গীতাপাঠ অনুষ্ঠানকে বানচাল করার জন্য মমতা সরকার এই কাজ করেছে। এমনই বক্তব্য শুভেন্দু অধিকারীর।

২৪ ডিসেম্বর ব্রিগেট প্যারেড গ্রাউন্ডে গীতাপাঠের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা। এক লক্ষ কন্ঠে ওই দিন গীতা পাঠ হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেদিন আসবেন। এছাড়াও শঙ্করাচার্যের আসার কথা স্থির হয়ে গিয়েছে। বিজেপি ও আরএসএস-এর বহু কেন্দ্রীয় নেতা উপস্থিত থাকতে পারেন। ফলে লোকসভা নির্বাচনের আগে এই কর্মসূচি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এমন কথাই মনে করা হচ্ছে।

শুভেন্দু অধিকারীরা সনাতনী হিন্দু ধর্মের প্রচার শুরু করেছেন ইতিমধ্যেই। ধর্মীয় ভাবাবেগকে আরও উস্কে দেওয়া হবে এই গীতাপাঠ অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে। এমনই মনে করেছে ওয়াকিবহাল মহল। রাজনৈতিক ভাবে হিন্দু ভোট তাদের দিকে আনার প্রবল চেষ্টা করছে বিরোধী দল বিজেপি। এমনও মনে করা হচ্ছে। আর সেখানেই মাস্টার্স স্ট্রোক খেলেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।
১০ ডিসেম্বর টেট পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল রাজ্যে। কিন্তু ওইদিন টেট পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। পরে দিনক্ষণ জানানো হবে। এ কথা বলা হয়েছিল। এখন জানা যাচ্ছে, ২৪ ডিসেম্বর এই টেট পরীক্ষা হবে রাজ্যজুড়ে। আর সেখানেই শুরু হয়ে গিয়েছে বিতর্ক। কারণ, ওই দিন ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে বিশাল কর্মসূচি রয়েছে বিজেপির। পরীক্ষা থাকলে সমস্যা তৈরি হবে। টেট রাজ্যের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা।

ফলে সরকারের দিকে অনেক বেশি পরিস্থিতি ঝুঁকে থাকবে। গীতা পাঠের অনুষ্ঠান বানচাল করার জন্য এই টেট পরীক্ষা ওই দিন রাখা হয়েছে। এমন অভিযোগ করছেন রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বিধানসভায় তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন এই ঘটনার। অবিলম্বে বিধানসভায় এই বিষয়ে আলোচনা করতে হবে। এই দাবিও তিনি তুলেছিলেন।

স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়ে কক্ষের ভিতর কোনও আলোচনা করার পক্ষপাতি ছিলেন না। শেষ পর্যন্ত বিজেপি বিধায়করা স্লোগান দিয়ে কক্ষত্যাগ করেন। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, বিধানসভার গরিমা নষ্ট করা হচ্ছে। আগামী দিনে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের অবস্থা রাজস্থান, ছত্রিশগড় সরকারের মতো হবে।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!