“কারোর চাকরি খেতে দেবো না।” – মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণাই সমস্ত গন্ডগোলের মূল – আইনজীবী ফিরদৌস শামিম
নিউজ ডেস্ক::শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সংকট কিছুতেই কাটছে না। এর মধ্যে আবার আন্দোলনকারীদের মঞ্চে উপস্থিত হয়ে কুনাল ঘোষ আরো সমস্যা বাড়িয়েছেন। কারণ তিনি সরকারের কেউ না হওয়া সত্ত্বেও সরকারি মিটিংয়ে ছিলেন। কুনাল ঘোষ বলেন, কিছু আইনজীবীর কারণেই নিয়োগ প্রক্রিয়া দেরি হচ্ছে। এর উত্তর দেন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। তিনি বলেন, যোগ্য চাকরি প্রার্থীরা মামলা করেছেন। আমরা আইনজীবী হিসাবে তাঁদের হয়ে সওয়াল করেছি মাত্র। কোনও আইনজীবী মামলাকারী নন। বরং বলুন কেন এরা আদালতে এল? এদের তো আদালতে আসারই দরকার হতো না যদি ন্যায্য বিচার পেত। যোগ্যদের যদি নিয়োগ দেওয়া হত, তাহলে তো এরা আদালতেও যেত না, ধরনা মঞ্চেও বসত না।”
এখানেই আইনজীবীর প্রশ্ন, মুখ্যমন্ত্রী আগেই ঘোষণা করেছেন,’কারোর চাকরি খেতে দেবো না।’ মুখ্যমন্ত্রী এটা বলেছেন বলেই SSC পড়েছে গভীর সংকটে।তিনি বলেন ” যদি অযোগ্য চাকরি প্রাপকদের চাকরি থেকে বাতিল করে দিয়ে যোগ্যদের ক্রম অনুযায়ী মেধা অনুযায়ী চাকরি দেওয়া হয়। মেধা তালিকা তো আছেই। যতক্ষণ অযোগ্যদের না বের করে দিচ্ছেন এই সমস্যার সমাধান হবে না। কিন্তু সরকার এখনও বলে যাচ্ছে একজনেরও চাকরি বাতিল হবে না। যোগ্যদের চাকরি দিতে কোনও চেষ্টাই নেই। বরং অযোগ্য চাকরি প্রাপকদের চাকরি বাঁচাতে মরিয়া সরকার। স্কুল সার্ভিস কমিশনের দায়িত্ব স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ দেওয়া। তারাই এসে আদালতে হলফনামা দিয়ে বলছে, অতিরিক্ত শূন্যপদ ব্যবহৃত হবে অযোগ্য চাকরি প্রাপকদের চাকরি বাঁচানোর জন্য। এটা স্বপ্নেও কখনও ভাবা যায়?”