১৪ জানুয়ারি থেকে শুরু ‘ভারত ন্যায় যাত্রা’
নিউজ ডেস্ক::বছরের শুরু থেকেই লোকসভা ভোটের পারদ চড়তে চলেছে। মোদীর অযোধ্যার রাম মন্দিরের উদ্বোধনের আগেই ময়দানে নামছে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। মণিপুর থেকে মুম্বই ভারত ন্যায় যাত্রা শুরু করতে চলেছেন তিনি। আগামী ১৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে সেই যাত্রা।
এর আগে ভারত জোড়ো যাত্রা করেছিলেন রাহুল গান্ধী। সেটা ছিল কন্যাকুমারিকা থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত। তাতে বাদ গিয়েছিল উত্তরপূর্ব ভারতের বিস্তীর্ণ অংশ। এই ভারত জোড়ো যাত্রার পরেই কর্নাটকে বিপুল জয় পেয়েছিল কংগ্রেস এবং কার্যত দক্ষিণভারত তারপরে বিজেপি মুক্ত হয়েছে। এর নেপথ্যে রাহুলের ভারত জোড়ো যাত্রা অনেকটাই ভূমিকা নিয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
গতকাল নাগপুরে একটি পদযাত্রা করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী সেই পদযাত্রা থেকেই লোকসভা ভোটের আগে প্রচারের ময়দানে নামার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। রাহুল গান্ধী বলেছেন হাম তৈয়ার হ্যায়। নাগপুর থেকেই এক প্রকার লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী সহ কংগ্রেসের তাবর নেতারা উপস্থিত ছিলেন সেই অনুষ্ঠানে।
২০২২ সালের ৭ সেপ্টেম্বর থেকে কন্যাকুমারীকা থেকে ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু করেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। সেটি কাশ্মীরে গিয়ে শেষ হয়েছিল ২০২৩ সালের ২৯ জানুয়ারি। ৫ মাস ধরে চলেছিল সেই ভারত জোড়ো যাত্রা। শ্রীনগরের লালচকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছিলেন তিনি। মণিপুরের ঘটনার পর তোলপাড় শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। সেই মণিপুর থেকেই ভারত ন্যায় যাত্রা শুরু করতে চলেছে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। কােজই মোদী ময়দানে নামার আগেই রাহুল গান্ধী লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করে দিতে চাইছেন।
পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে একেবারেই খারাপ ফল করেছে কংগ্রেস। রাজস্থান, ছত্তিশগড় হাতছাড়া হয়েছে। মধ্য প্রদেশেও তেমন কিছু করে উঠতে পারেনি হাত শিবির। এই তিন রাজ্যে কংগ্রেসের এই খারাপ ফলের নেপথ্যে রয়েছে অন্তর্দ্বন্দ্ব বলে মনে করা হচ্ছে। রাজস্থান কংগ্রেসের হাত ছাড়া হওয়ার নেপথ্যে রয়েছে গেহলট-পাইলট বিরোধ। অন্যদিকে কমলনাথ হারের দায় স্বীকার করে মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছে। ছত্তিশগড়েও কংগ্রেসের পরাজয়ের নেপথ্যে রয়েছে সেই অন্তর্দ্বন্দ্ব।
পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের খারাপ ফলের পরেই ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক ডেকেছিল কংগ্রেস। সেই বৈঠকে খাড়গেকে প্রধানমন্ত্রী পদের মুখ করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতে প্রকাশ্যেই বিরোধিতা করেছেন শরদ পাওয়ার। কাজেই ইন্ডিয়া জোটের অন্দরেও নেতৃত্ব নিয়ে বিরোধ রয়েছে। কাজেই কংগ্রেসকে একাই লোকসভা ভোটের ময়দানে বিজেপির বিরোধিতায় নামতে হচ্ছে।