কেরলে মুর্শিদাবাদের এক পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু ঘিরে রহস্য
নিউজ ডেস্ক::বৃহস্পতিবার কেৱল পুলিশের সাহায্যে যখন পরিযায়ী শ্রমিক সুবল হালদারের মৃতদেহ বাড়িতে আসে তখন সমস্ত পরিবার কান্নায় ভেঙে পড়ে। এমন মর্মান্তিক ঘটনা তারা কল্পনাও করতে পারে নি। পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, গত ১৫ বছর ধরে সুবল হালদার কেরলে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করে। সামনের জানুয়ারিতেই কেরালের পাট চুকিয়ে বাড়ি ফেরার কথা ছিল সুবলের। কিন্তু, বাড়ি ফিরছে তাঁর নিথর দেহ। আর মা-বাবার মুখ দেখা হল না সাগরপাড়ার সুব্রত হালদারের। কেরলে যে ঘরে তিনি থাকতেন সেখানে রহস্যজনকভাবে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হল। পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, আগামী জানুয়ারি মাসে বাড়ি ফেরার কথা ছিল। কিন্তু, গত সোমবার থেকে তাঁর সঙ্গে ফোনা আর যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। তাতেই উদ্বেগ বাড়ছিল পরিবারের সদস্যদের।কিন্তু, বাড়ি ফিরছে তাঁর নিথর দেহ। আর মা-বাবার মুখ দেখা হল না সাগরপাড়ার সুব্রত হালদারের। কেরলে যে ঘরে তিনি থাকতেন সেখানে রহস্যজনকভাবে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হল। পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, আগামী জানুয়ারি মাসে বাড়ি ফেরার কথা ছিল। কিন্তু, গত সোমবার থেকে তাঁর সঙ্গে ফোনা আর যোগাযোগ করা যাচ্ছিলো না। মঙ্গলবার কেরালা পুলিশের পক্ষ থেকে ফোনে জানানো হয় ঘরের মধ্যে তার মৃত্যু হয়েছে।
মাত্র ৩৫ বছরের সুব্রত মৃত্যু কিভাবে হলো তা নিয়ে ধোঁয়াশায় পরিবার। সুবলের বাড়ি সাগরপাড়া থানার নরসিংহপুর এলাকায়। পরিবারের অভিযোগ, খুন করা হয়েছে তাঁকে। পরিবার সূত্রে আরও খবর, ঘরের জন্য সাড়ে তিন লক্ষ টাকা সেলামি দিয়েছিলেন মালিককে। সেই টাকা ফেরত নেওয়া নিয়ে ঘর মালিকের সঙ্গে সুব্রতর ঝামেলা হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করেছেন পরিবারের সদস্যরা। দোকান বিক্রি করে দেশে ফিরতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, তারমধ্যে এ ঘটনায় হতবাক সকলে। কেরালার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।