সন্দেশখালিতে ফের জারি ১৪৪ ধারা
নিউজ ডেস্ক ::সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি করা নিয়ে মঙ্গলবার আদালতে ধাক্কা খায় রাজ্য সরকার। ১৪৪ ধারা জারির সরকারি বিজ্ঞপ্তি বাতিল করে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালত বলে ১৪৪ ধারা জারি করতে হলে নির্দিষ্ট এলাকা চিহ্নিত করতে হবে। কোন কোনও এলাকা উত্তেজনা প্রবণ তা নির্দিষ্ট করতে হবে। সেই মতো মঙ্গলবার রাতেই ফের ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন।
প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, সন্দেশখালি ২ নম্বর ব্লকের ১৯ টি জায়গায় ৫০০ মিটারের কন্টেইনমেন্ট জোন করে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই ১৪৪ ধারার সময়সীমার কথা বলা হয়েছে। বদল করা হয় সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে। নতুন করে ১৪৪ ধারার সরকারি নির্দেশিকার পরে বুধবার সকালে বিভিন্ন জায়গায় গার্ডরেল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার ১৪৪ ধারার আগেকার বিজ্ঞপ্তি বাতিল করতে গিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন. এলাকায় আরও বেশি করে সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন করতে হবে। কতটা এলাকা জুড়ে উত্তেজনা রয়েছে, ১৪৪ ধারা জারির বিজ্ঞপ্তিতে তার উল্লেখ করতে হবে। পাশাপাশি তিনি বলেন, ১৪৪ ধারা জারির আগে পরিস্থিতি আরও ভাল করে পর্যালোচনা করা উচিত ছিল।
রাজ্য সরকারের উদ্দেশে বার্তা দিতে গিয়ে বিচারপতি প্রশ্ন করেছিলেন গোটা সন্দেশখালিতেই কি উত্তেজনা? যে কারণে গোটা এলাকায় ১৪৪ ধারা? তিনি বলেন, ২-৩ টি অঞ্চল হলে বোঝা যেত, এরপর বলবেন গোটা কলকাতাতেই ১৪৪ ধারা।
শুনানির সময় আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য অভিযোগ করেন, পুলিশ আধিকারিকরা সন্দেশখালির ঘটনায় অভিযুক্ত, কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সেই সময় বিচারপতি বলেন, তিন বছর ধরে পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। সন্দেশখালিতে নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন মহিলারা। এই পরিস্থিতিতে আদালত চোখ বন্ধ করে থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি। তিনি প্রশ্ন করেন, ১৪৪ ধারা জারির আগে কি কোনও অতিরিক্ত বাহিনী চেয়েছিল প্রশাসন?
সেই সময় রাজ্যের আইনজীবী বলেন, প্রশাসনের তরফে ছয় প্লেটুন র্যাফের জন্য আবেদন করা হয়েছিল। সরকারি আইনজীবী সাফাই দিতে গিয়ে বলেন, রাজ্যের সর্বত্র রুটিন বদলির কারণে এলাকায় যেসব পুলিশ আধিকারিক রয়েছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই নতুন। ডিআইজি-সিআইডিকে বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে সেখানে পাঠানো হযেছে। সেই সময় বিচারপতি বলেন, মানুষের মনে আস্থা না ফেরা পর্যন্ত, যাঁকেই পাঠানো হোক না কেন, কোনও লাভ হবে না।