সন্দেশখালি-কাণ্ডে ‘পরামর্শ’ নুসরতের
নিউজ ডেস্ক ::প্রতিবাদের আগুনে জ্বলছে সন্দেশখালি! তোলপাড় বাংলা। রাজ্যজুড়ে চলছে বিরোধীদের ক্ষোভ-বিক্ষোভ। যা সামলাতে কার্যত হিমশিম খেতে হচ্ছে পুলিশ প্রশাসনকে। এই অবস্থায় কার্যত স্পিকটি নট ছিলেন এলাকার সাংসদ নুসরত জাহান। যা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠছিল।
অবশেষে সন্দেশখালির ঘটনায় মুখ খুললেন তৃণমূল সাংসদ (Nusrat Jahan On Sandeshkhali) । দিলেন পরামর্শ। তাঁর দাবি, ইন্ধন না জুগিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করা উচিত। তবে গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রয়েছে। এমনকি এলাকার সাংসদ হিসাবে প্রতিনিয়ত প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন বলেও মন্তব্য করেছেন নুসরত জাহান।
নুসরতের (Nusrat Jahan On Sandeshkhali) লোকসভা কেন্দ্র বসিরহাটের মধ্যেই পড়ে সন্দেশখালি। ফলে তিনি এলাকার সাংসদ। এত কিছু ঘটে গেলেও তাঁর দেখা পাওয়া যায়নি। বিতর্কের মধ্যে পড়েই নীরবতা ভাঙলেন অভিনেত্রী। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে উস্কানি দেওয়া বা অন্যদের উস্কানি দেওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।
ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রশাসনকে সহযোগিতা করা উচিত। রাজনীতি করা উচিত নয় বলেও দাবি নুসরতের (Nusrat Jahan On Sandeshkhali)। তবে এলাকার জনপ্রতিনিধি হিসাবে প্রতিনিয়ত প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তবে আগুন নেভানোটাই আমার কাজ এখন, তাতে ইন্ধন জোগানো নয়। সবাই মিলে প্রশাসনকে সাহায্য এবং দায়িত্ব পালনের কথাও এদিন স্মরণ করে দিয়েছেন নুসরত।
যদিও পালটা সংসদের ভূমিকা অভিনেত্রীকে স্মরণ করে দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। এক বিজেপি নেতার কথায়, দীর্ঘ প্রায় কয়েকদিন কেটে গিয়েছে। কীভাবে সন্দেশখালিতে মহিলাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে আজ তা সবার জানা।
সেখানে একজন মহিলা সাংসদ হয়ে কীভাবে এতদিন চুপ করে থাকলেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। অন্যদিকে সন্দেশখালির ঘটনায় ক্ষুব্ধ এবং অত্যন্ত ক্রুদ্ধ বলে মন্তব্য করেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ঘটনায় রীতিমত বিশ্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি সিনহা।
বলেন, আমার জ্ঞান হওয়া থেকে আমি এই সব শুনিনি। যা টিভিতে দেখলাম, ওরা বলছেন রাতে ফোন করে ডাকা কত। মিটিংয়ে জোরে করে নিয়ে যাওয়া হত। তা শোনা থাকলেও রাত্রিবেলা কাউকে পার্টি অফিসে যেতে বলা হচ্ছে, এটা পরিচিত ঘটনা নয় বলে মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের। ব্যক্তিগত ভাবে এই ঘটনায় অত্যন্ত ক্রুদ্ধ এবং ক্ষুব্ধ বলেও মন্তব্য করেন বিচারপতি।