আদৌ কি ভাগ্য ফিরবে ক্ষয়িষ্ণু বামেদের

0 0
Read Time:3 Minute, 40 Second

নিউজ ডেস্ক ::দুহাজার চারে দেশে প্রথম ইউপিএ সরকার। ৫৯ আসন নিয়েও চালিকা শক্তি বামেরা। সেই অবস্থা থেকে ২০১৯-এ দেশে বিজেপির দ্বিতীয় সরকার অর্থাত পনেরো বছরে বামেরা নেমে গিয়েছে মাত্র পাঁচটি আসনে। এবারের নির্বাচনে বামেরা স্বাধীনতার পর থেকে সব থেকে কম আসনে লড়াই করলেও আশা করছে জোটের সমন্বয়ে তাদের আসন বেশ কিছু বাড়বে।

কেরল, পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা থেকেই বামেরা মূলত আসন পেত। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরায় সংগঠন ছত্রখান, যার ফলে প্রাপ্তি শূন্য। তারপরেও এই তিন রাজ্য বাদেরও এবার তারা যেসব রাজ্যে প্রার্থী দিয়েছে, সেইসব রাজ্যে তাদের উপস্থিতি কিছুটা হলেও রয়েছে। সিপিআইএম এবং সিপিআই এবার ২০১৯-এর তুলনায় তাদের আসন বৃদ্ধির আশা করছে।

এখনও পর্যন্ত বামেরা পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা করে ত্রিশটি, তামিলনাড়ু ডিএমকের সঙ্গে জোট করে দুটি, রাজস্থান, ত্রিপুরায় কংগ্রেস ও বিহারে আরজেডির সঙ্গে জোট করে কয়েকটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। অন্ধ্রপ্রদেশে তারা জোটবদ্ধ হয়ে লড়াইয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। সিপিআইএমএলের ভোট শতাংশ ০.৩৩ শতাংশ থেকে ০.২২ শতাংশে নেমে গেলেও তারা বিহারে মহোজোটের অধীনে তিনটি আসনে লড়াই করছে। গতবার কেরলে ২০ টি আসনে লড়াই করে বামেরা মাত্র একটি আসনে জয়ী হয়েছিল। অন্যদিকে তামিলনাড়ুতে জয়ী হয়েছিল চারটি আসনে।

২০০৪-এ সিপিআই এখনও পর্যন্ত ৬৯ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৫.৬৬ শতাংশ ভোট পেয়েছিল এবং তারা ৪৩ টি আসনে জয়লাভ করেছিল। আর ২০১৯-এ ভোট শতাংশ ১.৭৭ শতাংশে নেমে আসন গিয়ে দাঁড়িয়েছে তিনে। তবে ২০০৪-এর পর থেকে তাদের পতনের ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ণ রয়েছে। ২০০৯-এ তারা ৫.৩৩ শতাংশ ভোট আর ১৬ টি আসন পায়। ২০১৪-তে ৩.২৮ শতাংশ ভোট আর নয়টি আসন পায়। এবার তারা পঞ্চাশের আশপাশের আসনে প্রার্থী দেওয়ার কথা জানিয়েছে।

সিপিআই একইরকমভাবে ২০০৪-এ ৩৪টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ১.৪১ শতাংশ ভোট আর দশটি আসন দখল করেছিল। ২০০৯-এ ১.৪৩ শতাংশ ভোট আর চারটি আসন দখল করে। ২০২৪ সালে ০.৭৯ শতাংশ ভোট আর দুটি আসন। এবং ২০১৯-এ ০.৫৯ শতাংশ ভোট পায় তারা। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে বামেদের পতন হতেই ফরওয়ার্ড ব্লক ও আরএসপির মর্যাদাও হ্রাস পায়।

সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেছেন, দেশে বিকল্প বাম ও গণতান্ত্রিক ধর্ম নিরপেক্ষ সরকার তৈরি করতে সংসদে বামেদের বিশেষ করে সিপিআইএমের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করা জরুরি। এখন দেখার তারা শেষ পর্যন্ত কতগুলি আসন পায়।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!