শুধু মাত্র হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের ভিত্তিতে কাউকে অভিযুক্ত করা যায় না
নিউজ ডেস্ক: শুধুমাত্র হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে মাদক সরবরাহে দোষী সাব্যস্ত করা যায় না। বলল বিশেষ আদালত। নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর হাতে ক্রুজ মাদক হানা মামলায় গ্রেফতার ২২ বছরের আচিত কুমারের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে পূর্ণাঙ্গ রায়ে বিশেষ আদালত বলেছে, কেবলমাত্র হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের ওপর ভিত্তি করে বলে যায় না, কুমার আরিয়ান খান, তাঁর বন্ধু আরবাজ মার্চেন্টকে মাদক সরবরাহ করতেন। আরিয়ান, আরবাজ ও মডেল মুনমুন ধামেচার জামিনের আবেদন বম্বে হাইকোর্টে মঞ্জুর হওয়ার দুদিন বাদে এই মামলায় ধৃত আরও ৯ অভিযুক্তকে রেহাই দেন বিশেষ বিচারক ভি ভি পাটিল। তাদের মধ্যে ছিলেন কুমার। বিশেষ বিচারক বিস্তারিত রায়ে বলেন, এটা উল্লেখ করা প্রাসঙ্গিক যে, এনসিবির দাবি, আবেদনকারী কুমার মাদক সরবরাহকারী। কিন্তু তারা নির্দিষ্ট প্রমাণ দেখাতে পারেনি যে কুমার মাদক পাচারের ব্যবসায় যুক্ত। ১ নম্বর অভিযুক্তের (খান) সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ছাড়া আর কোনও প্রমাণ নেই। কিন্তু শুধুমাত্র চ্যাটের ভিত্তিতে বলা যাবে না, আবেদনকারী অভিযুক্ত ১ ও ২ (মার্চেন্ট) কে মাদক জোগাড় করে দিতেন, বিশেষ করে যখন অভিযুক্ত খানকে মাননীয় হাইকোর্ট জামিন দিয়েই দিয়েছে। ৯ অভিযুক্তের ৫ জনের আবেদনের ক্ষেত্রে বিচারক বলেছেন, ওরা যে ষড়যন্ত্রের অংশ, তার কোনও প্রমাণ নেই। কুমার ও বাকি চারজন একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার সঙ্গে যুক্ত। যদিও ২০ অক্টোবর আরিয়ান, আরবাজ ও মুনমুনের জামিন নাকচ করে বিশেষ আদালত এনসিবির এই দাবির সঙ্গে সহমত হয়েছিল যে, অভিযুক্তরা সকলেই ‘একই সূত্রে বাঁধা’। এনসিবি কুমারকে ২.৬ গ্রাম গাঁজা সমেত গ্রেফতার করে দাবি করেছিল, আরিয়ানের ফোন থেকে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট দেখেছে তারা।