পুজো শুরুর শেষ বেলায় নিখুঁত রূপ ফুটিয়ে তুলতে চরম ব্যস্ত ভাস্কর্য শিল্পি সুশান্ত পাল
নিউজ ডেস্ক::দূর্গাপুজার আর মাত্র দু একদিন বাকি। মায়ের মূর্তিতে চক্ষু দান সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। এখন মায়ের আগমনের প্রতিক্ষা। এদিকে প্রতিমাগুলি নির্দিষ্ট সময়ে প্যান্ডেলে পৌছে দেওয়ার জন্য শেষ তুলির টান দিতে ব্যস্ত কুমোর টুলির শিল্পিদের পাশাপাশি ভাস্কর্য শিল্পরাও। থিমের মূর্তি গড়ার সঙ্গে ভাস্কর্য শিল্পিরা ওতোপ্রোতোভাবে জড়িত। কুমোর টুলির শিল্পি ও ভাস্কর্য শিল্পির মধ্যে যেমন রয়েছে বিস্তর ফারাক। তেমনি থিমের মূর্তি ও চিরাচরিত সনাতনি মূর্তি গড়ার ক্ষেত্রেও রয়েছে অনেকটাই ফারাক। সে কারনেই যে সব থিম মেকাররা প্যাণ্ডেলের থিমের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রতিমার রূপ ফুটিয়ে তুলতে চান তারা মুলত ভাস্কর্য শিল্পিদের ওপরই প্রতিমা গড়ার দায়িত্ব দিয়ে থাকেন। শিলিগুড়ির তেমনই এক ভাস্কর্য শিল্পি হলেন সুশান্ত পাল। সুশান্ত পাল রীতিমতো থিম মেকারের সঙ্গে বসে আলোচনা করে তার সামনে বসে ড্রয়িং করে বিষয়টি বুঝে নেন।
তারপর প্রতিমা গড়ে নিখুঁত রূপ ফুটিয়ে তোলেন। সে কারনেই আর পাচজন শিল্পির গড়া মূর্তির চাইতে তার গড়া মূর্তি অন্য মাত্রা নেয়। থিমের প্রতিমা গড়ার ক্ষেত্রে তিনি শুধু স্বর্গের দেব দেবীদের কল্পনা করেন না। কল্পনায় আনেন বাস্তবতা। আকাশকুসুম কল্পনা থেকে যে থিমের প্রতিমা হয় না তা তিনি ভালোই জানেন। আর সে কারনেই শিলিগুড়ি থিমের পুজো উদ্যোক্তারা তাকিয়ে থাকেন ভাস্কর্য শিল্পি সুশান্ত পালের ওপর। সুশান্ত পালের হাতে রয়েছে শিলিগুড়ি বিগ বাজেটের প্রায় আটটি প্রতিমা। পাশাপাশি আরও বেশ কিছু পুজো কমিটির প্রতিমা গড়ছেন তিনি। তার হাতে এ বছর রয়েছে ২৭ টি কাজ। প্রচুর উদ্যোক্তাদের ফেরত পাঠাতে হয়েছে। একা হাতে এর থেকে বেশি মূর্তি গড়া সম্ভব নয় বলে। তবে তার ছোট্ট মেয়ে বাবার সঙ্গে হাত লাগায় রঙ করার ক্ষেত্রে।
তুলতুলে হাতে প্রতিমার পায়ে আলতা পড়িয়ে দেয় নিখুঁতভাবে। শিল্পি জানান, ছুটির দিনে ও পড়াশুনার ফাঁকে আলতা পড়ানোর কাজটা মেয়েই করে দেয়। তবে শিলিগুড়ি লাগামছাড়া বৃষ্টি ক্ষতি করছে শিল্পির প্রতিমায়। তাও নির্দিষ্ট সময়েই মূর্তি পৌঁছে যাবে প্যাণ্ডেলে বলে জানান তিনি।