থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত সেলিমের পাশে দাঁড়ালো বিধানসভার প্রাক্তন বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্স

0 0
Read Time:3 Minute, 17 Second

চাঁচল: বয়সটা কত, ১৩ কিংবা ১৪। এই বয়সে পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা মধ্যে দিয়ে কাটে কিশোর জীবন। কিন্তু ইচ্ছে থাকলেও উপায় নেই। একদিকে অর্থের টান অন্যদিকে শরীরে বাসা বেধেছে ভয়ঙ্কর রোগ। যার কারণে ঘরের মধ্যে বন্দী ১৪ বছর বয়সী কিশোর মোহাম্মদ সেলিম। চাচোল ২ নং ব্লকের মালিতিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের লালগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা সুফিয়া সুলতানার ছেলে মোহাম্মদ সেলিম। সুফিয়া সুলতানার ছেলে মোহাম্মদ সেলিমের ছোটবেলায় একবার জন্ডিস ধরা পড়ে, চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা জানান ছেলে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত। প্রতিমাসে ছেলের শরীরে রক্তের জন্য হন্যে হয়ে ঘুড়ে বেড়ান মা সুফিয়া সুলতানা। রক্তদাতাদের সহযোগিতায় রক্ত জোগাড় হয়। কিন্তু চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন এই নির্ণয়ের জন্য সেলিমের শরীরে অপারেশন করতে হবে। কিন্তু অপারেশনের যা খরচ পরিবারের পক্ষে তা বহন করা সম্ভব না।

ছোট থেকেই সেলিম পড়াশোনায় ভালো। গোবিন্দ পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র ছিল। থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত হওয়ায় শরীরের গঠন আকৃতির জন্য স্কুলের বন্ধুরা তাকে নিয়ে ঠাট্টা-তামাশা করতো।সেই কারণে স্কুলে যাওয়া সে ছেড়ে দিয়েছে। পঠন পাঠন থেকে এখন অনেকটাই দূরে এই বছর চৌদ্দের কিশোর। প্রতি মাসে রক্তের দরকার পড়ে সেলিমের। সেলিমের মা সুফিয়া সুলতানা রক্তের জন্য হন্যে হয়ে ঘুড়ে বেড়ানোর পর রক্ত জোগাড় হয়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন এই রোগ নির্ণয়ের জন্য সেলিমের একটি অপারেশনের দরকার। কিন্তু অপারেশনের যা খরচ তা পরিবারের পক্ষে বহন করা একেবারেই সম্ভব নয়। তাই ছেলের চিকিৎসার জন্য চাতক পাখির মতো চেয়ে রয়েছেন সুফিয়া দেবী।

খবর শোনামাত্রই ওই অসহায় পরিবারটিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন মালতিপুর বিধানসভার প্রাক্তন বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্স। এদিন তিনি এই অসহায় পরিবারটির পাশে গিয়ে দাঁড়ান, চাল-ডালসহ কিছু আর্থিক সাহায্য করেন পরিবারটিকে। যদিও সামরিক এই সাহায্য। ছেলের চিকিৎসার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন সেলিমের পরিবার।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!