ভোট মিটতেই শুদ্ধিকরণ, সাসপেন্ড করা হল জেলার দুই তৃণমূল নেতাকে
নিউজ ডেস্ক: গোটা দেশ তাকিয়ে ছিল পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের দিকে। সেই নির্বাচনে জনতার রায়ে ফের বাংলার মসনদে বসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ফলাফল নিয়ে সন্তুষ্ট নয় রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্ব। মোট ১৬টি আসনের মধ্যে তৃণমূল অধিকার করতে পেরেছে নটি আসন। ফলে বাকি আসনগুলোতে বিজেপি জয়ের শিরোপা ছিনিয়ে নিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দলকে আরও শক্তিশালী করতে ভোটের পরে শুদ্ধিকরণে নামলো জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। শুক্রবার বিকেলে জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন কুমার মহাপাত্র তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠক ডাকেন। সেই বৈঠকে দল থেকে খেজুরিরর প্রাক্তন বিধায়ক রনজিৎ মন্ডল ও জেলা পরিষদের মৎস্য কর্মদক্ষ আনন্দময় অধিকারীকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মূলত ৭টি বিধানসভা কেন্দ্রে নিজেদের হারের ব্যর্থতা ঠেকাতে শুদ্ধিকরণে নামলো জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। শুক্রবার বিকেলে নিমতৌড়ি শিক্ষক ভবনে জেলা তৃণমূল কোর কমিটির এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র, কো-অর্ডিনেটর অর্ধেন্দু মাইতি, শেখ সুফিয়ান, মামুদ হোসেনসহ জেলা তৃণমূলের ৩ মুখপাত্র ও নির্বাচিত বিধায়করা। গত বিধানসভা নির্বাচনে বিরোধীদের দখলে গিয়েছিল তমলুক, হলদিয়া এবং পূর্ব পাঁশকুড়া বিধানসভা কেন্দ্র। সেই জায়গায় পূর্ব পাঁশকুড়া ও তমলুক বিধানসভা কেন্দ্র একুশের নির্বাচনে ঘাস ফুল ফুটিয়ে তুলেছে তৃণমূল। তবে হলদিয়া বিধানসভা কেন্দ্র আগের মতোই বিরোধীদের দখলে গেছে। তাই দলকে নতুনভাবে ঢেলে সাজাতে মূলত শুদ্ধিকরণের পথে হাঁটলো জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। পরাজিত হওয়া ৭ বিধানসভা কেন্দ্রের বেশকিছু তৃণমূল নেতা গোপনে বিজেপির হয়ে কাজ করছেন বলে মনে করছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তাই তাদের মূলত শনাক্ত করে দল থেকে বের করে দেওয়ার কাজে নেমেছেন জেলা সভাপতি সৌমেন বাবু। অপরদিকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দুই সাংসদ তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী ও কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী সম্পর্কে সৌমেন মহাপাত্র বলেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ এর সম্পর্কে কোন কিছু কথা বলার বিষয় নেই তবে যা কিছু বলবে রাজ্য বলবে বলে জানিয়ে দেন।