রামপুরহাট গণহত্যা কাণ্ডের তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই

0 0
Read Time:2 Minute, 58 Second

নিউজ ডেস্ক কলকাতা আদালতের নির্দেশে রামপুরহাট গণহত্যা কাণ্ডের তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। ইতিপূর্বেই বগটুইয়ে পৌঁছেছে সিবিআই এর দল। এবার বগটুইয়ে পৌঁছেছেন ডিআইজি-সিবিআই অখিলেশ সিংহ। তিনি সমস্ত ঘটনার নানা তথ্য খতিয়ে দেখছেন। ডিজিআই সিবিআই অখিলেশ সিঙ্ঘের নেতৃত্বে ওই টিম ৩টি দলে ভাগ হয়ে কাজ শুরু করেছে। এদিন বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ সিবিআই-য়ের একটি টিম বকটুই গ্রামে গিয়ে তদন্তের কাজ শুরু করে। এদিনই গ্রামে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক দলও সেখান তাঁরা নমুনা সংগ্রহ করবে।

তবে গোটা বকটুই গ্রামই এদিন পুরুষশূন্য রয়েছে। ধড়পাকড়ের ভয়ে গ্রামের পুরুষেরা যে যার মতো করে গা ঢাকা দিয়েছ। অনেক বাড়ির সদস্যরাই বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছেন। কার্যত গোটা গ্রাম থমথম করছে। গ্রামে বসানো হয়েছে অস্থায়ী পুলিশ পিকেট। মোতায়েন হয়েছেন ইএফআর জওয়ানরাও। তবুও গ্রামবাসীদের মধ্যে থেকে ভয় এখনও যায়নি।

গতকাল হাইকোর্টের নির্দেশের পরে পরেই পুলিশের অভিযোগের ভিত্তিতে মোট ১০টি ধারায় এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই। ওই এফআইআরে খুন, খুনের চেষ্টা, আগুন লাগিয়ে খুনের অভিযোগ এবং হিংসা ছড়ানোর ধারা যুক্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে জানা গিয়েছে, সিবিআই মোট ২৩ জনের বিরুদ্ধেই এফআইআর দায়ের করেছে।

বকটুই ঘটনার মূল অভিযুক্ত আজাদ চৌধুরীর সঙ্গে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেনের নামও রয়েছে। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, আনারুলকে গ্রেফতার করে জেরার পরে ঘটনার সঙ্গে জেলা তৃণমূলের এক প্রভাবশালী নেতার নাম পাওয়া গিয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হতে পারে। প্রয়োজনে তাঁকে গ্রেফতারও করতে পারে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দল। কেননা অভিযোগ উঠেছে ভাদু শেখ খুনের পরে আনারুল ওই প্রভাবশালী নেতাকে ফোন করে ঘটনার কথা জানিয়েছিলেন। তিনিই নাকি তখন কয়েকটি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু সেই নির্দেশে খুন করার কথা ছিল না।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!