২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ভারতের অর্থ প্রবৃদ্ধি হার ৮.২% মাত্র
নিউজ ডেস্ক মুদ্রা ঘটিত ঘটনা তো লেগেই আছে এবার হলো আন্তর্জাতিক মুদ্রা নিয়ে। শোনা যাচ্ছে যে,
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ভারতের জন্য ৮.২ বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিচ্ছে। ভারতের জন্য শক্তিশালী অর্থনৈতিক বৃদ্ধির জন্য এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল প্রধান অর্থনীতি বলে বিবেচিত করা হয়েছে। চিনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চেয়ে ভারতের প্রবৃদ্ধির হার প্রায় ২গুন বলে জানায় আইএমএফ।
২০২২ সালে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি ৩.৬ শতাংশে অনুমান করা হয়েছে। ২০২১ সালে ৬.১ শতাংশের থেকে কম ওই প্রবৃদ্ধির হার। আইএমএফ একইসঙ্গে জানিয়েছে, চিনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৪.৪ শতাংশ। ভারতের প্রবৃদ্ধি হারের থেকে প্রায় অর্ধেক। গত বছরের একই সময়ের জন্য পূর্ববর্তী পূর্বাভাস থেকে ২০২২-এর জন্য ভারতের প্রবৃদ্ধি ০.৮ শতাংশ কমিয়েছে আইএমএফ।
২০২১ সালে ভারত ৮.৯ শতাংশ বৃদ্ধির হার নথিভুক্ত করেছে। ২০২৩ সালে ভারত ৬.৯ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে বলে অনুমান করছেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল। ভারতের জন্য ২০২৩ সালের বৃদ্ধির প্রক্ষেপণে নিম্নগতি, কিন্তু ইউক্রেনের যুদ্ধের প্রতিফলনের নিরিখে উচ্চ গতিসম্পন্ন বলে বিবেচিত হয়েছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ভারতের প্রবৃদ্ধি গতি কমিয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছে আইএমএফ।
২০২২ সালের এশিয়ার উল্লেখযোগ্য ডাউনগ্রেডের মধ্যে রয়েছে জাপান (০.৯ শতাংশ) এবং ভারত (০.৮ শতাংশ)। ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধের ফলে আইএমএফ বিশ্বব্যাপী বৃদ্ধির পূর্বাভাসকে হ্রাস করেছে। আইএমএফ তার রিপোর্টে ২০২২ এবং ২০২৩ সালে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি ৩.৬ শতাংশ, যা জানুয়ারির পূর্বাভাসের তুলনায় যথাক্রমে ০.৮ এবং ০.২ শতাংশ কম বলে অনুমান করেছে। ডাউনগ্রেড মূলত রাশিয়া এবং ইউক্রেনের উপর যুদ্ধের সরাসরি প্রভাব এবং বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রভাবকে প্রতিফলিত করে।
চিন যেখানে ২০২১ সালে ৮.১ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার নিবন্ধিত করেছে, ২০২২ সালে ৪.৪ শতাংশ এবং ২০২৩ সালে ৫.১ শতাংশ বৃদ্ধির অনুমান করা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ২০২১-এ ৫.৭ শতাংশের নিরিখে ২০২২ সালে ৩.৭ শতাংশ বৃদ্ধির অনুমান করা হয়েছে। ২০২৩-এর জন্য অনুমান ২.৩ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে বলে আইএমএফ রিপোর্টে জানানো হয়েছে।
রাশিয়া এবং ইউক্রেন উভয় দেশের জন্য কিন্তু ২০২২ সালে বড় জিডিপি সংকোচনের সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে আর সাথে ইউক্রেনের পতন, কাঠামো ধ্বংস আর ইউক্রেনের জনগণের দেশত্যাগের ফলে ভয়াবহ ক্ষতির সম্মুখীন হতে চলেছে রাশিয়া।