দীপ্সিতা, ঐশীদের, মীনাক্ষীদের বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য তৃণমূল কর্মীর
নিউজ ডেস্ক। সোশ্যাল মিডিয়ার কমেন্টে বাম নেত্রী ঐশী ঘোষ, দীপ্সিতা ধর, মীনাক্ষী মুখার্জীদের কদর্য ভাষায় আক্রমণ। আক্রমণ শানিয়েছেন জনৈক সার্থক দাস। ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশের সাইবার সেলে অভিযোগ জানিয়েছেন ঐশী, দীপ্সিতারা। তবে বক্তব্যটি এতটাই নিম্নরুজির যে তা প্রকাশ্যে আনা যায় না। সার্থক দাসের ফেসবুক পোস্টের লিঙ্কটি শেয়ার করেছেন কেউ কেউ। তবে এখন আর সেই লিঙ্কে গেলে পোস্টটি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। তড়িঘড়ি ওই পোস্টটি মুছে ফেলা হয়েছে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। সার্থকের বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশে করা অভিযোগ পত্রে ঐশী লিখেছেন, ‘আপত্তিকর পোস্টে মহিলা ও যৌনকর্মীদের বিরুদ্ধে অশালীন শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। যৌন হেনস্থা ও সাইবার বুলিং করা হয়েছে।’
কিন্তু কে এই সার্থক দাস? সূত্রের খবর, সার্থক দাস সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেকে তৃণমূল সমর্থক বলে দাবি করেন। একইসঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে সমর্থন করে তৃণমূলের হয়ে একাধিক পোস্টও লিখতে দেখা গিয়েছে। বিজেপি-সিপিএমকে আক্রমণ করে একাধিক পোস্ট দেখতে পাওয়া গিয়েছে তাঁর প্রোফাইলে। প্রায় তাঁর ৯০ শতাংশ পোস্টই এ জাতীয়। অন্য একটি সূত্রে জানা যাচ্ছে সে ঘোষিত ভাবে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মী। বঙ্গবাসী কলেজের এই পড়ুয়াকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সোশ্যাল মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর হিসাবেও অনেকে চেনে। এর আগে একাধিক বিষয়ে তাঁর বিরুদ্ধে নানা কুরুচিকর মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে। তার জেরে বিভিন্ন সময়ে সে ফেসবুকে ভাইরালও হয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে সে যে কথাগুলি ব্যবহার করেছে তা নিয়ে গোটা ফেসবুক জুড়েই নিন্দার ঝড় উঠেছে। বর্তমানে সে তাঁর ফেসবুক প্রোফাইল লক করে দিয়েছে বলে খবর।
এই প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুদীপ্তা রায়চৌধুরী বলেন, ‘এর দুটো দিক রয়েছে। এই ধরনের কথাবার্তা বললে সোশ্যাল মিডিয়ায় সহজে ভাইরাল হওয়া যায়। সহজে পরিচিতি পাওয়া যায়। পরিচিতির জন্য এই ধরনের নেগেটিভ পাবলিসিটি করে থাকে অনেকে। সহজ পরিচিতির জন্য এই ব্যক্তি এই কাজ করেছেন বলে মনে হয়।