দেয়ালের ফাটল দিয়ে ঢুকলো এক সাপ

0 0
Read Time:3 Minute, 4 Second

নিউজ ডেস্ক:: তালপাতার ছাউনিতে চলছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের রান্না! বৃষ্টি হলে রান্না বন্ধ। দেওয়াল ফেটে গিয়েছে। সাপ ঢুকছে সেই ফাটল দিয়ে। চাঙড় খসে পড়ছে ছাদ থেকে। প্রাণের ভয়ে শিশুদের সেখানে পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছেন অভিভাবকরা। বছরের পর বছর ধরে এভাবেই চলছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের দিকনগরের লক্ষ্মীগঞ্জের ৪৪  নম্বর আইসিডিএস কেন্দ্রের চিত্রটা এমনটাই।

শিশু এবং প্রসূতি সকলকে রান্না করা খাবার দেওয়া হয় এই সুসংগত শিশু বিকাশ প্রকল্পে । সে জন্য গ্রামে গ্রামে রয়েছে আইসিডিএস সেন্টার । কিন্তু আউশগ্রামের লক্ষ্মীগঞ্জের ৪৪ নম্বর আইসিডিএস কেন্দ্রের হাল এত খারাপ যে সেখানে আর শিশুদের পাঠাতে চাইছেন না অভিভাবকরা । আসছেন না মায়েরাও ।

গ্রামবাসীরা বলছেন,  ভাঙা দরজা, ফাটা দেওয়াল দিয়ে আইসিডিএস সেন্টারে সাপ ঢুকতে দেখেছেন তাঁরা । রান্নাঘরের টিনের চাল ফুটো হয়ে গিয়েছে অনেক আগেই । তালপাতার ছাউনি দিয়ে তার নীচে চলে রান্নার কাজ। ভারী বৃষ্টিতে মাটির উনুন গলে যায়। তখন রান্নাবান্না বন্ধ থাকে। রান্না করা খাবার খাওয়া হয় না শিশু ও মায়েদের।

প্রতিদিন ৬৫ জনের রান্না হওয়ার কথা এই কেন্দ্রে । তবে সেই রান্না করা খাবার আগ্রহ নেই অনেকেরই । গ্রামবাসীরা বলছেন,  ‘‘তালপাতার ছাউনির তলায় রান্না । সাপ টিকটিকি কখন যে কী পড়বে তার কোনও ঠিক ঠিকানা নেই। তাই ওই খাবার আমরা শিশুদের খেতে দিই না।’’

এই আইসিডিএস সেন্টারের সহায়িকা জানালেন,  ‘‘বৃষ্টিতে চাল, ডাল ভিজে যায়। জলে উনুন ভেসে যায়। তাই তখন রান্না করা যায় না। বসার জায়গা নাই। তাই শিশুরাও আসে না।’’

এই বিল্ডিং ভঙ্গুর হয়ে পড়ায় নতুন আইসিডিএস সেন্টার তৈরি করা হয়েছে গ্রামে। কিন্তু দু’বছর হয়ে গেলেও ঠিকাদারের পাওনা বকেয়া থাকায় সেই কেন্দ্র এখনও চালু করা যায়নি বলে অভিযোগ। খুব তাড়াতাড়ি এই আইসিডিএস সেন্টারকে নতুন বাড়িতে স্থানান্তরিত করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে ব্লক প্রশাসন।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!