তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে গুলিবিদ্ধ এক পুলিশকর্মী
নিউজ ডেস্ক: শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার বাংলা।সুজন চক্রবর্তী বলেন,এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে যে নীতিগত কারণে তা তো নয়,আসলে জমি দখলের লড়াই।যে এলাকা যাদের দখলে থাকবে তাদের হাতেই আসবে বিস্তর টাকা।এরই পরিণামে সোমবার গুলিবিদ্ধ হলেন এক পুলিশকর্মী।
স্থানীয় সূত্রের খবর, সিরাজুল বেশে নামক এক ব্যবসায়ী সোমবার রাতে শাঁকচূড়া বাজার এলাকায় তার কার্যালয়ে একটি ঝামেলায় জড়ায়। সেই ঝামেলা মেটাতে যায় বাজারে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা ও উত্তর ২৪ পরগণা জেলার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান বুলবুল। তার দাবি তখনই এক দুষ্কৃতী তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।
সেই ধেঁয়ে আসা গুলি দেখতে পেয়ে কনস্টেবল প্রভাত সর্দার আশরাফুজ্জামান বুলবুলকে নিচে বসিয়ে দেয়। তখনই সেই গুলি এসে লাগে ওই পুলিশকর্মীর বাঁ কাঁধে। তারপর তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তারপরেই শুরু হয় বচসা। অন্যান্য পুলিশ গিয়ে ওই পুলিশকর্মীকে উদ্ধার করে প্রথমে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। তারপর তাঁকে বারাসতের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অপারেশন করিয়ে গুলি বের করা হলেও প্রচুর রক্তপাতের কারনে পুলিশকর্মী এখন বেশ আশঙ্কাজনক।তবে চিকিৎসক মহল তাঁর উপর নজর রেখেছে।ইতিমধ্যে তাঁর পরিবারের লোকেরা ও এলাকাবাসীদের অনেকেও হাসপাতালে গিয়ে পৌঁছেছেন।
তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের সামনেই পরপর কয়েক রাউন্ড চলে গুলি। এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে গুলি লাগে খোদ পুলিশ কর্মীর। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই রাতভর উত্তেজনা জারি থাকে বসিরহাট থানার শাঁকচুড়া বাজারের কাছে। জানা গিয়েছে, ধেয়ে আসা গুলি থেকে এক তৃণমূল ছাত্র নেতাকে বাঁচাতে গিয়েই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বসিরহাট থানার অনন্তপুর ফাঁড়ির পুলিশ কনস্টেবল প্রভাত সর্দার।
তবে কেন এই দ্বন্দ্ব তা এখনও পুলিশের কাছে পরিষ্কার না।তবে এলাকা দখলকে কেন্দ্রকরেই এই দ্বন্দ্বে বলে প্রাথমিক ধারণা।