DA বঞ্চনার অভিযোগে তৃণমূলের শিক্ষাসেলে ফাটল!
নিউজ ডেস্ক : ডিএ বঞ্চনার অভিযোগ করে সোমবার তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠন ত্যাগের খবর পাওয়া গিয়েছিল জলপাইগুড়ি থেকে। বকেয়া ডিএ আর স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতে তারা সংগঠন ত্যাগ করার কথা জানিয়েছেন। সোমবার উত্তরবঙ্গের পরে মঙ্গলবার পশ্চিমের জেলা বাঁকুড়ায় সেই ঘটনা ঘটল। এদিন বাঁকুড়ায় তৃণমূলের শিক্ষা সেল ত্যাগ করার কথা জানিয়েছেন ৩২ জন শিক্ষক শিক্ষিকা।
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ডাকে দু’দিনের ‘কর্মবিরতি’র মধ্যেই তৃণমূল শিক্ষা সেল ত্যাগ করলেন বাঁকুড়ার ইন্দপুরের শালডিহা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩২ জন শিক্ষক শিক্ষিকা। একই সঙ্গে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ডাকে সাড়া দিয়ে এদিন ‘কর্মবিরতি’তে অংশ নেন তাঁরা। ফলে ওই বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পঠন পাঠন ব্যাহত হয়। অন্যদিকে, একটি সূত্রের খবর, পার্শ্ব শিক্ষক ও ভোকেশনাল শিক্ষকদের দিয়ে পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত পঠন পাঠন চালানো হলেও ওই স্কুলে একাদশ-শ্রেণীর পঠন পাঠন বন্ধ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, শালডিহা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩৭ জন শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছেন, এর মধ্যে তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ৩২ জন। ওই শিক্ষকদের অভিযোগ, অন্য শিক্ষক সংগঠনগুলি ‘শিক্ষকদের স্বার্থ রক্ষায় লাগাতার কাজ করছে, কিন্তু তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠন এব্যাপারে সম্পূর্ণ উদাসীন। আর এই কারণেই তাঁরা তৃণমূল শিক্ষা সেল ত্যাগ করলেন।
সোমবার জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়িতে তৃণমূলের শিক্ষা সেল ত্যাগ করেছিলেন ১৮ জন শিক্ষক। বানারহাটের দুরামারি চন্দ্রকান্ত হাইস্কুলের শিক্ষকরা সোমবার তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠন ত্যাগের কথা জানিয়ে বার্তা পৌঁছে দেন স্কুলে তৃণমূলের শিক্ষা সেলের নেতা হাবিবুল ইসলামের হাতে। ওই স্কুলে শিক্ষক সংখ্যা ২১। তৃণমূলের সংগঠনত্যাগীরা জানিয়েছেন, বকেয়া ডিএ এবং স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতেই তাঁরা সংগঠন ত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে স্কুলে তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠনের নেতা হাবিবুল ইসলাম এব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
যে কোনও নির্বাচনে সংগঠন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। তা সে বাম আমলে দেখা গিয়েছে, আর এই তৃণমূল আমলেও। তবে অনেকেই বদলির ভয়ে এই ধরনের সংগঠনে যুক্ত থাকেন। কিন্তু প্রতিমাসে বিপুল পরিমাণ ডিএ-র বকেয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত সরকারি কর্মী থেকে শিক্ষক শিক্ষিকারা এবার অন্য ভাবনা ভাবতে বাধ্য হচ্ছেন। যা তৃণমূলের ক্ষেত্রে সিঁদুরে মেঘ, বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
অন্যদিকে সোমবারের পরে মঙ্গলবারেও ডিএ-র দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেন সরকারি কর্মীরা। বকেয়া ডিএ প্রদান, স্বচ্ছ নিয়োগ-সহ একাধিক দাবিতে যৌথ মঞ্চের ডাকে এদিনও বিভিন্ন জায়গায় সরকারি কাজ ব্যাহত হয়। ডিএ সমস্যার সমাধান না হলে এর প্রভাব আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনেও পড়বে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সরকারি কর্মীরা।