অসুস্থ পরিচালক প্রভাত রায়কে দেখতে ছুটে এলেন ভিক্টর
0
0
নিউজ ডেস্ক : এক সময়ের খ্যাতনামা পরিচালক প্রভাত রায় এই মুহূর্তে খুবই অসুস্থ। তাঁরই হাত ধরে ইন্ডাস্ট্রার বহু নতুন মুখ এসেছেন চলচ্চিত্রজগতে। অভিনেতা ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে একটি ছবি বানিয়েছিলেন পরিচালক প্রভাত রায়। ছবির নাম ‘লাঠি’। বৃদ্ধ বয়সে ছেলে মেয়েরা মুখ ফিরিয়ে নিলেও এক বৃদ্ধ মানুষের সম্বল হয়ে ওঠে তাঁর লাঠি। প্রভাত রায় হয়তো ভাবতেও পারেননি বাস্তব জীবনেও তাঁকে এমন দিন দেখতে হবে। সেই ‘লাঠি’ ছবিই এখন ফিরে এলো তাঁর জীবনে। তিনি এখন সম্পূর্ণ নিঃসঙ্গ,একা।
বাংলা সিনেমায় তিনি একটা মাইস্টোন – সকলেই সে কথা স্বীকার করেন। বহু ক্লাসিক ছবি পরিচালনার পাশাপাশি অনেক সফল অভিনেতা অভিনেত্রীদের কেরিয়ারও গড়ে দিয়েছেন তিনি। প্রভাত রায়, যাঁর পরিচালিত ছবিতে অভিনয় করেছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত থেকে শুরু করে শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নবীন প্রজন্মের অভিনেত্রীরাও। কিন্তু আবেগ মথিত হয়ে তিনি বলেন,এখন জীবনের শেষে এসে তাঁর উপলব্ধি তিনি এখন অনেকের কাছেই অচ্ছুৎ।
বর্তমানে গুরুতর অসুস্থ বর্ষীয়ান পরিচালক। বয়সজনিত সমস্যার পাশাপাশি আচমকা রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ায় হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। জানা যাচ্ছে, প্রভাত রায়ের প্রতিবেশীরাই খবর দিয়েছিলেন পরিচালক হরনাথ চক্রবর্তীকে। সঙ্গে সঙ্গে আরেক পরিচালক প্রেমেন্দুবিকাশ চাকীকে নিয়ে অসুস্থ প্রভাত রায়কে হাসপাতালে ভর্তি করান তিনি। তাঁর এই দুর্দিনে তিনি বড়ো একা। চলচ্চিত্র জগতের অনেকেই তাঁর থেকে মুখ ফিরিয়েছে।
প্রভাত রায়কে কিন্তু ভোলেন নি প্রবীণ অভিনেতা ভিক্টর ব্যানার্জি। পরিচালক অসুস্থ, খবর পেয়েই হাসপাতালে ছুটে এসেছেন অভিনেতা ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘লাঠি’ ছাড়াও ‘প্রতিদান’, ‘তুমি এলে তাই’ এর মতো ছবিতে পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। বহু বছর হয়ে গেল কলকাতাকে বিদায় জানিয়েছেন ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়। টলিউডের সঙ্গেও যোগাযোগ ছিন্ন হয়েছে তাঁর। তবু কৃতজ্ঞতাবোধ আছে বলেই ভিক্টর ছুটে এসেছেন কোলকাতায়। ছুটে গিয়েছেন হাসপাতালে। অসুস্থতার মধ্যেও নিজের ছবির নায়ককে দেখে মুখে হাসি প্রভাত রায়ের। ভিক্টরের সঙ্গে তোলা একটি ছবিও শেয়ার করেছেন তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায়।
অভিমান থেকেই প্রবীণ পরিচালক কয়েক মাস আগেই উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন টলিউডের বিরুদ্ধে। তিনি লিখেছিলেন, ‘আমি প্রায় ১৫ জন নতুন ছেলেমেয়েকে সিনেমায় সুযোগ দিয়েছি। রূপা গাঙ্গুলী, ঋতুপর্ণা, টোটা থেকে শুরু করে শুভশ্রী, সায়ন্তিকা। তার মধ্যে তিন জন আমাকে মনে রেখেছে। ঋতুপর্ণা, টোটা, সায়ন্তিকা। বাকি সব অকৃতজ্ঞ। একটা খোঁজও নেয় না।’ এই অভিমান তাঁর মনের মধ্যে রয়েছে। তারই প্রকাশ ঘটেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
