কৌস্তভের গ্রেফতারিতে ‘গর্বিত’ মা
নিউজ ডেস্ক::গ্রেফতার কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচি। ভোর রাতে কংগ্রেস নেতা তথা কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবীর বাড়িতে পৌঁছে যান পুলিশের আধিকারিকরা। গোটা বাড়ি ঘিরে ফেলা হয়। কার্যত মধ্যরাতে টানটান উত্তেজনা।
এরপর সকাল সাতটা নাগাদ কংগ্রেস নেতাকে গ্রেফতার করে বড়তলা থানার পুলিশ। আর এহেন ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা। পুলিশ এবং রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
যদিও ছেলের গ্রেফতারি নিয়ে গর্বিত মা শিউলি বাগচি। গোটা রাত কার্যত চোখের পাতা এক করেননি কৌস্তভ বাগচি’র বাবা-মা। একেবারে ছেলের পাশে দাঁড়িয়ে কখনও পুলিশের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন তো আবার কখনও কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিতেই দেখা গিয়েছে আইনজীবীর মাকে। পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, আমাদের খুব খারাপ লেগেছে! ও তো কোনও টেরোরিস্ট নয়! যে ওই ভাবে তাঁকে নিয়ে যাবে। স্বেচ্ছাতেই যাওয়ার কথা পুলিশ আধিকারিকদের কৌস্তুভ জানিয়েছিল বলে জানান তাঁর মা। তবে আমি আমার ছেলের জন্যে খুবই গর্বিত অনুভব করছি বলে মন্তব্য তাঁর।
এই বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, এত বড় একটা অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে সে। এমন অন্যায়ের বিরুদ্ধে কটা লোক দাঁড়াতে পারে? প্রশ্ন শিউলি দেবীর। তবে বইটা কেন নিষিদ্ধ করা হয়নি তা নিয়েও প্রশ্ন তাঁর। শিউলি দেবী বলেন, দীর্ঘদিন বইটা রয়েছে। সবাই জানে। তবে ছেলে যে সততার সঙ্গে এই কাজ করেছে তাতে আমি খুশি বলে দাবি তাঁর।
অন্যদিকে আইনজীবীর বাবা কুশল বাগচী জানান, রাত তিনটের সময় কলিং বেলের শব্দে বুকটা কেঁপে উঠল…। দরজা খুলেই দেখি বাড়ি পুরো ঘিরে ফেলেছে পুলিশ। তখনই আমার মনে হয়েছিল শাসকের তো স্বৈরাচারী মনোভাব… ওরা হয়তো ওকে নিয়েই যাবে। কিন্তু অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট ছিলই না, এমনকি পুলিশের সঙ্গে অন্য কোনও নথি ছিল না বলেও দাবি কুশলবাবুর। তবে মায়ের মতো ছেলের জন্যেও গর্বিত অনুভব করছেন তিনি। একই সঙ্গে ছেলের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিও জানাচ্ছেন বাবা। তবে পুলিশের এহেন আচরণে বৃদ্ধ দম্পতি কিছুটা হলেও আতঙ্কিত তা চোখেমুখে স্পষ্ট।
উল্লেখ্য, দলের নেতা ও আইনজীবী কৌস্তভ বাগচির বাড়িতে পুলিশ যাওয়ার ঘটনায় ইতিমধ্যে তীব্র নিন্দা করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী এবং প্রবীণ কংগ্রেস নেতা নেপাল মাহাত। কৌস্তভ বাগচির প্রতি পুলিশের এই আচরণের প্রতিবাদ করে এদিন কংগ্রেসের তরফে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।