বিজেপিকে উৎখাতের ডাক দিয়ে বিরোধীদের একজোট হতে বললেন মমতা
নিউজ ডেস্ক::বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন! আর সেই নির্বাচনের আগে ক্রমশ চড়ছে উত্তেজনার পারদ। এই অবস্থায় ফের একবার খেলা হবে স্লোগান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে! শুধু তাই নয়, জোট বেঁধে ফের একবার বিরোধীদের ময়দানে নামার ডাক দিলেন তিনি। গত কয়েকদিন আগেই লোকসভায় একলা চলোর ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
তিনি বলেছিলেন, ভোটের আগে মানুষের জোট হবে। আর সেই জোটের সঙ্গেই তৃণমূল থাকবে। এমনকি তৃণমূল একা লড়াইয়ে প্রস্তুত বলেও দাবি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সময় ঘুরতেই ফের একবার বিরোধীদের একজোট হওয়ার ডাক তাঁর মুখে। কেন্দ্রের বঞ্চনা সহ একাধিক ইস্যুতে ধর্নায় বসার ডাক দেন মুখ্যমন্ত্রী।
সেই মতো গতকাল থেকে শুরু হয়েছে এই ধর্না। আর সেই মঞ্চ থেকেই বিজেপিকে উতখাতের ডাক দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, স্বাস্থ্য ভাল নেই এনডিএ জোটের। ইতিমধ্যে একাধিক শরিক বঞ্চনার শিকার হয় মোদী সরকারের হাত ছেড়েছে। আর সেই কারনেই ইডি-সিবিআইকে দিয়ে বিরোধী দলগুলিকে ভয় দেখানো হচ্ছে বলে দাবি তৃণমূল সুপ্রিমোর।
শুধু তাই নয়, এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তাঁর দাবি, ১৭ টি রাজনৈতিক দলকে নিয়ে এনডিএ জোট তৈরি হয়েছিল। কিন্তু এরমধ্যে ১৬ টি দলই চলে গিয়েছে। ফলে বিজেপির একা কী করার আছে? প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল নেত্রী। আর এখানেই বিরোধীদের একজোট হওয়ার বার্তা শোনা তাঁর মুখে।
শুধু তাই নয়, অখিলেশের সঙ্গে হাত ধরে উত্তরপ্রদেশে খেলব। ফলে সেখানে সব পাবে না ওরা। যোগীবাবুর সঙ্গে সবার সম্পর্ক ভালো নয় বলেই শুনেছি। এমনকি মধ্যপ্রদেশেও টিমটিম করে জ্বলছে। এছাড়াও অন্ধ্রপ্রদেশে, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গনায়, রাজস্থনে, পঞ্জাব এবং বাংলাতে ওরা কীভাবে ভোট পাবে? তা নিয়েও এদিন প্রশ্ন তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তবে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করে এদিন তিনি বলেন, ঝড় যখন উঠবে তখন দিল্লি টলমল হবে। যেভাবেই হোক বিজেপিকে দেশ থেকে সরাতে হবে। ওরা দেশের দুঃশাসন-দুর্জধন বলেও এদিন তোপ দাগেন দলনেত্রী।
তাঁর কথায়, দুঃশাসনকে হটাতে হবে। দুর্যোধনকে সরান, দেশকে বাঁচান। আর এজন্যে সমস্ত বিরোধী দলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে বলে এদিন জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ যোগ্য ভাবে এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে রাহুল গান্ধীর নাম শোনা যায়। শুধু তাই নয়, যেভাবে তাঁকে সরানো হয়েছে সে বিষয়টিকে তুলে ধরে মোদী সরকারকে তীব্র আক্রমণ শানান। আর এর পরেই তৃণমূল সুপ্রিমোর মুখে জোট বার্তা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।