জোড়া ফোনেই লুকিয়ে রহস্য!
নিউজ ডেস্ক::বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়ির পুকুরের জল ছেঁচে ফেলতে সকালে নামানো হল আরও পাম্প। রাত থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে বাড়ি ঘিরে তল্লাশি চলছে। রাতের অন্ধকারে আন্দি গ্রামে কাজে কিছুটা বিঘ্ন ঘটে। অভিযোগ জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন অসুস্থতার কথা বলে শৌচালয়ে গিয়ে দুটো মোবাইল পুকুরে ফেলে দেন তৃণমূল বিধায়ক।
শুক্রবার বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ মুর্শিদাবাদের বড়ঞায় আন্দি গ্রামে জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে তল্লাশি শুরু করেছিল সিবিআই। রাত পেরিয়ে সকালেই বাড়ি ঘিরে রেখেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সকালে আনা হয়েছে নতুন পাম্প। লক্ষ্য দুটি মোবাইল খুঁজে বের করা।
বিকেলের দিকে অসুস্থতার কথা বলে শৌচালয়ে যাওয়ার নাম করে আচমকাই বাড়ির পিছনের পুকুরে নিজের দু’টি মোবাইল ছুড়ে ফেলে দেন তিনি। ঘটনায় হকচকিয়ে যান তদন্তকারীরা। এর পর পুকুরের সমস্ত জল ছেঁচে ফেলে মোবাইল দু’টির খোঁজ শুরু হয়। রাতেও পুকুরের জল তুলে ফেলা যায়নি। সকালে আরও পাম্প এনে জল তুলে ফেলার কাজ নতুন উদ্যমে শুরু হয়।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে গিয়ে তাঁকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন সিবিআই আধিকারিকরা। পাশাপাশি তার শ্বশুর বাড়িতেও যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে শুক্রবার বিধায়কের অফিস-সহ একাধিক জায়গায় হানা দেয় সিবিআই। সিবিআই সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন বিকেল সাড়ে ৪টা নাগাদ অসুস্থতার কথা বলে শৌচাগারে যাওয়ার কথা বলেন জীবনকৃষ্ণ। এর পর আচমকাই বাড়ির পিছনের দিকের পুকুরে নিজের দু’টি মোবাইল ছুড়ে ফেলেন তিনি।
সিবিআই সূ্ত্রের দাবি, শুক্রবার দুপুরের দিকে প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীদের সহযোগিতা করলেও বেলা গড়াতেই তদন্তকারীদের সঙ্গে চূড়ান্ত অসহযোগিতা শুরু করেন তৃণমূল বিধায়ক।
পুকুর থেকে জল তুলে ফেলতে স্থানীয় কৃষকদের সাহায্য নিচ্ছেন সিবিআই আধিকারিকরা। পুকুর ছাড়াও বাগানেই তল্লাশি চালানো হচ্ছে। সিবিআই সূত্রে খবর সারা রাত সিবিআই-এর নজরবন্দি ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা।