“বিজেপির একটা আসন জিততেই কালঘাম ছুটবে”: কুণাল ঘোষ
নিউজ ডেস্ক::বাংলায় প্রচারে এসে আগামী লোকসভা নির্বাচনের সুর বেঁধে দিয়ে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি ৩৫টি আসনে জয়ের টার্গেট দিয়ে গিয়েছেন। আর তা শুনে তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া, ৩৫ নয়, শূন্য থেকে ভাবুন।একটা আসন পেতেই মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হবে।
অমিত শাহকে কড়া বার্তায় পাল্টা নিশানা করেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, অমিত শাহের বীরভূমের সভা ফ্লপ হয়েছে। বাংলার মানুষ, বীরভূমের মানুষ তাতে সাড়া দেননি। তাই তো বিহার, ঝাড়খণ্ড থেকে লোক এনে ভরাট করতে হয়েছে অমিত শাহের সভা।
কুণাল ঘোষ বলেন, আবার এখানে এসে তিনি ৩৫ আসনে জেতানোর আর্জি জানিয়েছেন। এবার বাংলায় একটা আসন পেতেই কালঘাম ছুটবে। তাই বলি শূন্য থেকে এক হবে কি না ভেবে দেখুন। আপনি বিধানসভায় টার্গেট দিয়েছিলেন ২০০, তারপর কী হয়েছিল সবাই জানেন।
এখন তিনি লোকসভায় ৩৫ আসনের টার্গেট দিয়েছেন, এই টার্গেট করে তিনি আবার অনৈতিক কথাও বলেছেন। একজন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হয়ে তিনি তা বলতে পারেন না। আর বলতে পারেন তিনি অমিত শাহ বলেই। এর আগেও ভিনরাজ্যে তিনি সরকার ভাঙার খেলা চালিয়েছেন। আর বাংলাতেই এসেও বাংলার সরকার ভাঙার কথা বলে গেলেন।
কুণাল ঘোষের কথায়, তা না হলে তিনি কী করে বলেন নির্ধারিত সময়ের আগেই সরকার পড়ে যাবে। বিজেপিকে ৩৫ আসনে জেতালে ২০২৫ পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার থাকবে না। তিনি আবার পরিবারবাদের কথা বলছেন। অধিকারী প্রাইভেট লিমিটেডকে কোলে নিয়ে বসে পরিবারবাদের কথা বলছেন অমিত শাহ।
কুণাল ঘোষ অভিযোগ করেন, অমিত শাহরা কাঁচের ঘরে বসে ঢিল ছুঁড়ছেন। আসলে বাংলা বিরোধী চক্রান্তের পিছনে ওনারাই আছেন। তা প্রমাণিত হয়ে গেল এদিন। তিনি যেভাবে ২০২৫-এর আগেই সরকার পড়ে যাবে বলে তোপ দাগলেন, তাতে প্রমাণিত তাঁরা দিল্লিতে বসে এইসব পরিকল্পনাই করেন।
একুশের ভোটে নরেন্দ্র মোদী অমিত শাহরা ডেলি প্যাসেঞ্জারি করেছিলেন। তারপরও বিজেপি টার্গেটের টিকিও ছুঁতে পারেনি। আবার সেই এক টার্গেট দিয়ে গিয়েছেন। এবার হাল আরও খারাপ হবে বিজেপির। একুশের প্রত্যাশ্যার ধারেকাছে পৌঁছতে পারেনি। এবারও পারবে না।
তৃণমূলের তরফে টুইট করে বলা হয়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পরিযায়ী পাখির মতো এসেছিন। আপনি দিল্লি ফিরে গিয়ে নিজের কাজ করুন। বাংলার মানুষজন আপনার এবং আপনাদের বিষয়ে আগ্রহী নয় বলেও জানান তিনি। আপনার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি, ঘৃণা ভাষণ সম্বন্ধের সমস্তকিছু জানেন বাংলার মানুষ।