মিশিগানেও দুর্গা পুজোর আমেজে মেতে ওঠেন বাঙালি
নিউজ ডেস্কঃ দেশের পুজোর পাশাপাশি প্রতিবছর প্রবাসের পুজো নিয়ে বাড়তি উৎসাহ চোখে পরে সকলের মধ্যেই। সেই সঙ্গে চলতি বছরে ইউনেস্কো বাংলার দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ তকমা দিয়েছে। মুখ উজ্জ্বল হয়েছে বাংলার। কলকাতাতে যেমন চারদিন মায়ের আরাধনায় মেতে ওঠেন, ঠিক সেই ভাবেই বিদেশেও বাঙালিরা গা ভাসান এই আনন্দে। বিদেশে যেখানে বাঙালিরা থাকেন তাঁরাও দুর্গাপুজোর আরাধনা যে করবেন না তা একেবারেই বেমানান। কারণ বাঙালির দুর্গোৎসব। তাই বিদেশে থাকা বাঙালিরাও পুজোর কটা দিনে উৎসবের আমেজে গা ভাসাতে চান। পুজোর বেশ কয়েক মাস আগেই মিশিগানের প্রবাসী বাঙালিরা কোমর বেঁধে নেমে পড়েন মায়ের আরাধনার প্রস্তুতি পর্বে। ডেট্রয়েট দুর্গা টেম্পল, ট্রাই সিটি হিন্দু টেম্পল, বিচিত্রা, মিশিগান কালীবাড়ি প্রভৃতি জায়গায় দেবী আরাধনার আয়োজন করা হয়।
মিশিগানে বসবাসকারী প্রবাসী বাঙালিদের উদ্যোগে সর্বপ্রথম ২০০৬ সালে ডেট্রয়েট এবং হ্যামাট্রাম্যাক শহরে মায়ের আরাধনা সূচনা হয়। একেবারে রীতিনীতি মেনে বোধন, অধিবাস, আরতি, বিসর্জন, সিঁদুর খেলা, সন্ধি পুজো, মিষ্টি মুখ কোনও কিছুই বাদ যায় না এখানে। পুজোর আগে ডেট্রয়েটের দুর্গা টেম্পলের শিল্পীরা বেশ ব্যস্ত থাকেন। পুজোর সময় মিশিগানের আকাশে-বাতাসে দুর্গোৎসবের জমজমাট পরিবেশের আমেজ মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়।