নজরুল তীর্থ মেট্রো স্টেশনে থাকবে একাধিক সুবিধা
নিউজ ডেস্কঃ একের পর এক দিন কেটে যাচ্ছে! কিন্তু এখনও চালু করা সম্ভব হল না কবি সুভাষ থেকে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় (রুবি) পর্যন্ত মেট্রো। শহরের পরিবহণ ব্যবস্থায় গতি আনতে কবি সুভাষ থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত বিশাল মেট্রো করিডর তৈরি হচ্ছে। এই কাজ সম্পন্ন হলে খুব দ্রুত শহরের এক অংশ থেকে অন্য অংশে পৌঁছানো সম্ভব হবে।
ইতিমধ্যে কবি সুভাষ থেকে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় (রুবি) পর্যন্ত মেট্রো লাইন (Kolkata Metro) তৈরি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কেন তা চালু করা হচ্ছে না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। চলতি বছরের শুরুতেই অর্থাৎ জানুয়ারিতে কবি সুভাষ থেকে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় (রুবি) পর্যন্ত মেট্রো পরিষেবা চালু করার টার্গেট নেওয়া হয়েছিল।
আর সেই মর্মে কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটি (সিআরএস) পরিদর্শনও করেছিল। এরপরেও সংক্ষিপ্ত এই রুটে (Kolkata Metro) কেন পরিষেবা চালু করা সম্ভব হচ্ছে না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তবে কলকাতা মেট্রো তাদের ফেসবুক পেজে কাজের প্রত্যেকদিনের ছবি দিয়ে আপডেট দেয়। কেমন কীভাবে কাজ হচ্ছে সেই সংক্রান্ত আপডেট দেয়। এমনকি মেট্রো স্টেশনগুলি কেমন হচ্ছে সেই ছবিও শেয়ার করে।
অন্যদিকে বিমান বন্দরগামী রুটে নিউটাউনে মেট্রো প্রকল্পের (Kolkata Metro) কাজ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে। ইতিমধ্যে কাজ শেষ হয়ে এসেছে নজরুল তীর্থ স্টেশনের। অন্যতম ব্যস্ত উপনগরী নিউটাউন। সেখানে গড়ে উঠছে একাধিক হাব এবং কাজের জায়গা। প্রত্যেকদিন কয়েক হাজার মানুষ কাজের জন্যে নিউ টাউন যাতায়াত করে। সেখানে মেট্রো পরিষেবা চালু হলে যাত্রী সংখ্যা আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিশেষ ভাবে নজরুল তীর্থ স্টেশনের (Kolkata Metro) উপর চাপ অনেকটাই বাড়বে বলেও মনে করা হচ্ছে। আর সে বিষয়টিকে মাথায় রেখেই নজরুল তীর্থ স্টেশন সহ অন্যান্য স্টেশনগুলিতে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য সহ একাধিক পরিকাঠামো তৈরি করা হচ্ছে। যেমন নজরুল তীর্থ স্টেশনে থাকছে আটটি এসক্যালেটর। যাতে দ্রুত যাত্রীরা স্টেশনে পৌছতে পারেন। আছে একাধিক লিফট।
পাশাপাশি জরুরি সময়ে যাত্রীদের যাতে দ্রুত বের করে দেওয়া সম্ভব হয় সেজন্যে অতিরিক্ত আটটি সিঁড়ি থাকবে। প্রায় ১৮০ মিটার দীর্ঘ আপ এবং ডাউন লাইনের পাল্টফর্ম। স্টেশনে টিকিট কাউন্টারের পাশিপাশি থাকবে অটোমেটিক স্মার্ট কার্ড রিচার্জ মেশিন।
এছাড়াও স্টেশনে থাকবে শৌচালয়। যা কিনা পুরুষ, মহিলা ও বিশেষভাবে সক্ষম যাত্রীদের জন্যে তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি বিশেষ পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেম থেকে ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড, এমার্জেন্সি লাইটিংয়ের মতো অত্যাধুনিক ফিচার থাকবে মেট্রো স্টেশনগুলিতে।