প্রো কবাডি লিগে গুজরাতের কাছে হেরে বাংলার বিদায়
নিউজ ডেস্ক ::প্রো কবাডির প্লে অফে যাওয়ার আশা কার্যত শেষ হয়ে গেল বেঙ্গল ওয়ারিয়র্সের। ঘরের মাঠে ট্র্যাক রেকর্ডের কারণে চলতি পর্বের চারটি ম্যাচ জেতার পরিকল্পনা ছিল বাংলা শিবিরে।
যদিও পিকেএলের দশম সংস্করণে কলকাতা পর্বের উদ্বোধনী ম্যাচেই গুজরাত জায়ান্টসের কাছে উড়ে গেল বেঙ্গল ওয়ারিয়র্স।
বাংলার ফ্র্যাঞ্চাইজিতে বাংলার কোনও কবাডি প্লেয়ার নেই। কবাডি অ্যাসোসিয়েশনের দ্বন্দ্বের কারণে প্রো কবাডিতে খেলার মানের প্লেয়ার নাকি ট্রায়ালে পাওয়া যাচ্ছে না। গতকাল এমনটাই দাবি করেছিলেন বেঙ্গল ওয়ারিয়র্সের কোচ ভাস্করণ। কিন্তু যাঁদের নিয়ে দল গড়া হয়েছে তাঁরাও তো ২০১৯-এর চ্যাম্পিয়নদের ডোবাচ্ছেন।
গতকাল নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে বেঙ্গল ওয়ারিয়র্সকে ৪১-৩২ ব্যবধানে হারিয়ে পয়েন্ট তালিকার চতুর্থ স্থানে উঠে এলো গুজরাত জায়ান্টস। মনিন্দর সিং কয়েকটি রেইড পয়েন্ট আনায় বাংলার দলটি শুরুটা খারাপ করেনি। ৮ মিনিটের শেষে ৬-৪ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল। যদিও প্রতীক দাহিয়ার সৌজন্যে গুজরাত কিছুক্ষণের মধ্যে ৮-৬ ব্যবধানে লিড নেয়।
এরপর অল আউট নিশ্চিত করে ১২ মিনিটে গুজরাত জায়ান্টস ১২-৭ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ১২ মিনিটে। দাহিয়ার সুপার রেইড বাংলার সমস্যা বাড়াতে থাকে। প্রথমার্ধের শেষে গুজরাত জায়ান্টস এগিয়ে ছিল ১৮-১৪ ব্যবধানে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও দাহিয়ার সুপার রেইড ২১-১৪-এ এগিয়ে দেয় গুজরাতকে।
মনিন্দর সিংয়ের সৌজন্যে বেঙ্গল ওয়ারিয়র্স ব্যবধান বাড়ানোর মরিয়া চেষ্টা চালালেও শেষরক্ষা হয়নি। রাকেশও সুপার রেইডের মাধ্যমে বাংলার ভরাডুবি নিশ্চিত করে দেন। প্রতীক ১৩ ও রাকেশ ১১ পয়েন্ট নিশ্চিত করেন। বেঙ্গল ওয়ারিয়র্সের মন্দির ৯, নীতীন কুমার ১২ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছেন।
এদিনের অপর ম্যাচে হরিয়ানা স্টিলার্স ৫০-৩৪ ব্যবধানে হারিয়েছে ইউপি যোদ্ধাসকে। গুজরাত জায়ান্টসের ১৯ ম্যাচে হলো ৬০ পয়েন্ট। হরিয়ানা স্টিলার্স ১৮ ম্যাচে ৬০ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে পাঁচে। ১৮ ম্যাচে বেঙ্গল ওয়ারিয়র্স ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে নবম স্থানে। তাদের হোম ম্যাচ বাকি তেলুগু টাইটান্স (আগামীকাল), ইউ মুম্বা (১২ ফেব্রুয়ারি), পুনেরি পল্টন (১৪ ফেব্রুয়ারি)-এর বিরুদ্ধে। ১৮ ফেব্রুয়ারি বাংলার দলটির প্রতিপক্ষ তামিল থালাইভাস (পাঁচকুলায়)।
১৯ ম্যাচে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে ১১-এ ইউপি যোদ্ধাস। ইতিমধ্যেই প্লে অফে জায়গা নিশ্চিত করে ফেলেছে জয়পুর পিঙ্ক প্যান্থার্স (১৯ ম্যাচে ৭৭ পয়েন্ট), পুনেরি পল্টন (১৮ ম্যাচে ৭৬ পয়েন্ট) ও দাবাং দিল্লি কেসি (২০ ম্যাচে ৬৯ পয়েন্ট)।