বাংলায় দ্রুত সরকার গঠনের কথা শাহের মুখে

0 0
Read Time:4 Minute, 2 Second

নিউজ ডেস্ক ::লোকসভা ভোটের আগে সিএএ আইন লাগু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই ইস্যুতে রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়েছে। সিএএ নিয়ে সবথেকে বেশি বিরোধিতায় সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তৃণমূলনেত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ।

বৃহস্পতিবার সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সিএএ ইস্যুতে মততাকে নিশানা করলেন অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘হিন্দু মুসলিমদের মধ্যে বিভাজনের চেষ্টা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুদের সঙ্গে অবিচার করবেন না। বাংলায় লাগাতার অনুপ্রবেশ হচ্ছে।হাতজোড় করে বলছি সিএএ নিয়ে রাজনীতি করবেন না।’

একইসঙ্গে অমিত শাহ বলেন, ‘শরনার্থী এবং অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে পার্থক্য আছে। ভোটের পর সব রাজ্য সরকারই এই বিষয়ে কেন্দ্রকে সহযোগিতা করবে। জাতীয় সুরক্ষা নিয়ে রাজনীতি করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বিজেপির কাছে সিএএ রাজনীতির বিষয় নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হয়ত অনুপ্রবেশকারী ও শারনার্থীদের মধ্যে পার্থক্য বোঝেন না। বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুদের ক্ষতি করবেন না। বাংলাদেশে থেকে লাগাতার অনুপ্রবেশ হচ্ছে সেটা বন্ধ করুন।’
একইসঙ্গে অমিত শাহ পরিষ্কার জানিয়ে দেন বাংলায় দ্রুত সরকার গঠন করবে বিজেপি। তাঁর কথায়, ‘বাংলায় দ্রুত সরকার গঠন করবে বিজেপি এবং অনুপ্রবেশ বন্ধ করবে।’ একইসঙ্গে অমিত শাহ বলেন, ‘কোন রাজ্য সরকার সিএএ আটকাতে পারবে না, সিএএ-তে একটি ধারা দেখান যেখানে নাগরিকত্ব কাড়ার কথা বলা হয়েছে। সিএএ-তে নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার কোনও সংস্থান নেই।’

২০১৯ সালে সিএএ আইন সংসদে পাশ হয় । গত সোমবার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সেই আইন কার্যকর করেছে কেন্দ্র। নতুন এই আইন অনুসারে, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে মুসলিম বাদে ধর্ম- হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের যে সব মানুষ প্রতিবেশী তিন দেশ থেকে ভারতে এসেছেন, তাঁদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।

লোকসভা ভোটের আগে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ তাস খেলেছে বিজেপি। চার বছর আগে আইনে পরিণত হয়েছিল সিএএ। আইনে পরিণত হলেও প্রায় সাড়ে চার বছর ধরে সিএএ-র ধারা-উপধারা যুক্ত হয়নি। ফলে বাস্তবে এই আইন কার্যকরও হয়নি। সোমবার সিএএ নিয়ে নোটিফিকেশন জারি করে কেন্দ্র।

সিএএ লাগু দেরি হওয়ার প্রসঙ্গে অমিত শাহ বলেন, ‘করোনার কারণে সিএএ লাগু করতে সময় লেগেছে। আমাদের কাছে বিষয়টি রাজনীতির নয়। আমাদের পূর্ব নেতারা ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগের বিরোধী ছিল। বিজেপি বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, পাকিস্তান থেকে আসা শরনার্থীদের নাগরিকত্ব দিতে চায়। কোনও রাজ্য সরকার এটা আটকাতে পারবে না।’

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!