শহরের বহুতলের ১৬ তলায় বিধ্বংসী আগুন
নিউজ ডেস্ক::ফের শহরের বহুতলে বিধ্বংসী অগ্নিকান্ডের ঘটনা। নাগেরবাজার এলাকার ডায়মন্ড সিটি বলে একটি বহুতলের ১৬ তলাতে আগুন লেগেছে বলে জানা যাচ্ছে। প্রায় ১ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে এই আগুন জ্বলছে বলে খবর। কিন্তু সেখানে পৌছতেই পারছেন না দমকলের কর্মীরা। ফলে আগুনের উৎসে জল দেওয়াও সম্ভব হচ্ছে না বলে জানা যাচ্ছে।
যদিও ঘটনার পরেই ওই বহুতল থেকে বহু মানুষ নীচে নেমে এসেছে। কিন্তু এখনও বেশ কয়েকজন ওই বহুতলে আটকে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে সেই ছবি ধরাও পড়েছে।
বুধবার দুপুরে ওই বহুতলের একটি ঘরে এই আগুন লাগে। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলের একাধিক ভিডিও সামনে এসেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, একেবারে দাউ দাউ করে আগুনের লেলিহান শিখা বেরিয়ে আসছে ঘরের চারপাশ থেকে। এমনকি কালো ধোঁয়াতে গোটা আকাশ ভরে গিয়েছে। ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের একাধিক ইঞ্জিন। কিন্তু আগুনের উৎসে তাঁরা এখনও পৌছতে পারেনি । ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল আকার নিচ্ছে।
যদিও দমকলের তরফে ল্যাডার নিয়ে এসে আগুন নেভানোর কাজ চলছে। কিন্তু তাতে কীভাবে সামাল দেওয়া সম্ভব? সেটাই ভাবাচ্ছে দমকলকর্মীদের। আর এর মধ্যেই আশঙ্কা যে আগুন যদি এসি মেশিনগুলির কাছে পৌঁছে যায় তাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হতে পারে। কারণ যেখানে আগুন লেগেছে সেখানের চারপাশে একাধিক এসি মেশিন বসানো রয়েছে। ফলে সেখানে আগুন পৌঁছে গেলে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হতে পারে বলে আশঙ্কা।
অন্যদিকে ওই বহুতলের ঘরে কীভাবে আগুন লাগল তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে এই আগুন লাগতে পারে বলে অনুমান। কারণ ১৬ তলার ওই ঘর থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে। পাশাপাশি শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগার বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু এত বড় বহুতল সেখানে অগ্নিনির্বাপনের কোনও ব্যবস্থা নেই? বিশেষ করে বহুতলে আগুন লাগলে কীভাবে তা নিয়ন্ত্রণ আসবে সে বিষয়ে কোনও তথ্য নেই বলেই দমকলের অভিযোগ। তবে ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। এমনকি আতঙ্কে সাধারণ মানুষ।
অন্যদিকে ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলের আধিকারিকরা। এমনকি গিয়েছেন পুলিশের আধিকারিকরা। কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায় তা যৌথ ভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে। অন্যদিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। এমনকি গিয়েছেন স্থানীয় বিধায়কও।
দমকল জানাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত ১৭ তলা থেকে পাঁচজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। আরও কেউ আটকে আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে খবর। যদিও এই ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি এখনও পর্যন্ত।