করোনাকালে প্রজাতন্ত্র দিবস
নিউজ ডেস্ক: আর মাত্র কয়েকদিন বাকি প্রজাতন্ত্র দিবস। তবে এই বছর করোনা নামক অতিমারির কারণে প্রায় সব কিছুই স্থগিত হমকরা হচ্ছে। আর প্রজাতন্ত্র দিবসও বাদ যাচ্ছে না এই প্রক্রিয়া থেকে। গোটা বিশ্ব জুড়ে যে অতিমারী তৈরি হয়ে আছে তার ফলে প্রজাতন্ত্র দিবসের কর্মসূচিতে করা হয়েছে অনেক কাটছাট। তার মধ্যে এই বছর কোনো বিদেশি অতিথি আসছে না দেশে। প্রসঙ্গত, এই বছর ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মরিস আসার কথা ছিল এদেশে কিন্তু ইংল্যান্ডে করোনা র নতুন স্ট্রেন দেখা দেওয়ায় , দেশে আসছেন না। বৈদেশিক বিষয়ক মন্ত্রী অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেছিলেন, বিশ্বব্যাপী করোনা পরিস্থিতির কারণে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে এই বছর আমাদের প্রজাতন্ত্র দিবসে কোনও বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকারী প্রধান প্রধান অতিথি হিসাবে থাকবেন না। । যা ভারতের ইতিহাসের চতুর্থবার, যে কোনও বিদেশী অতিথি প্রজাতন্ত্র দিবসে উপস্থিত হচ্ছেন না।
আর ইতিহাসে প্রথমবারের মতো লাল কেল্লায় প্যারেড শেষ হবে না। এদিন প্যারেড দিল্লীর বিজয় চক থেকে শুরু হয়ে জাতীয় স্টেডিয়ামে শেষ হবে। কুচকাওয়াজের পথ অনেক টা ছোটো করে দেওয়া হয়েছে। যেটা আগে ৮.২ কিলোমিটার পথ জুড়ে হত এই বছর তা হবে ৩.৩ কিলোমিটার।কুচকাওয়াজের অংশগ্রহণকারীদের কয়েকটি প্রোটোকলগুলি মেনে চলতে হবে, টা হল নির্দিষ্ট দীর্ঘ দূরত্ব রেখে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা এবং অবশ্য ই প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীকে মুখে মাস্ক পরে নামতে হবে।
প্রতিবছর প্রজাতন্ত্র দিবসের দর্শক সংখ্যা ১,১৫,০০০ থেকে এই অতিমারি পরিস্থিতির জন্য ২৫,০০০ জনে এ নামিয়ে আনা হয়েছে। এছাড়াও 15 বছরের কম বয়সী শিশুদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না অনুষ্ঠান দেখার জন্য। তাছাড়া , সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সংখ্যাও হ্রাস করা হয়েছে।
দর্শকদের সামাজিক দূরত্ব মেনেই দর্শকদের বসতে দেওয়া হবে এবং সর্বদা মাস্ক তাদের মুখে পরে থাকতে হবে।