চন্দননগরে গভীর রাতে সাংবাদিক ও তার পরিবারকে হেনস্থা
নিউজ ডেস্ক:চন্দননগরে গভীর রাতে সাংবাদিক ও তার পরিবারকে হেনস্থার।নাইট কারফিউ চলছে, এই অজুহাত দিয়ে সাংবাদিক ও তার পরিবারকে ব্যাপক হেনস্থার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে চন্দননগর থানার বাগবাজার জিটি রোডের উপর।আক্রান্ত ওই সাংবাদিকের নাম তাপস মণ্ডল।তিনি একটি দৈনিক খবরের কাগজের হুগলী জেলার সাংবাদিক। জানা যায়, সারা দিনের খবরের কাজ সেরে রাতে শ্রীরামপুর থেকে স্ত্রী ও ছোট বাচ্ছাকে নিয়ে চুঁচূড়ায় ফিরছিলেন ওই সাংবাদিক।
সেই সময়ে চন্দননগরেরবাগবাজারে জিটি রোডের উপর একজন পুলিশ কর্মী দাঁড়িয়েছিলেন। হঠাত্ সেখান থেকেবেড়িয়ে হাত দেখিয়ে সে সাংবাদিককে দাঁড় করায়।সাংবাদিক সেখানে দাঁড়িয়ে পড়েন।এই ঘটনায় তিনি পুলিশ কর্মীকে বলেন,অন্ধকার থেকে বেড়িয়ে এভাবে কেউ বাইক দাঁড়করায়? আপনি শীতের পোশাক পরা রয়েছেনআমি বুঝিনি আপনি পুলিশ কর্মী? ব্যাস এইটুকু প্রশ্ন করতেই আশপাশ থেকে বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী জড়ো হয়ে যায়।শুরু হয় সাংবাদিক ও পুলিশের মধ্যে তর্কাতর্কি।পুলিশ কর্মীরা সাংবাদিকের বাইকেরচাবি কেড়ে নেন। পুলিশ ঘনঘন সাংবাদিক ও তার স্ত্রী ও বাচ্ছার ছবি তুলতে শুরু করে।সেই সময়ে সাংবাদিকের সঙ্গে তার বাইকে বসেথাকা তার স্ত্রী ও ছোট বাচ্ছা পুলিশের এই রকম আচরণে ভয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। প্রবল নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে শুরু করেন সাংবাদিকের পরিবার। সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পরও পুলিশ কর্মীরা ওই সাংবাদিককে নাছোরবান্দা হয়ে বিভিন্ন আছিলায় ক্রমাগত হেনস্থা করতে থাকেন। সেই সময়ে ঘটনাস্থলথেকে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশকমিশনার অর্ণব ঘোষকে ফোন করে সাহায্যপ্রার্থনা করেন ওই সাংবাদিক।
কিন্তু, পুলিশ কমিশনার রাত ১২টা ১৩ মিনিটে সাংবাদিকের ফোন ধরেননি।এই সুযোগে পুলিশ কর্মীরা সাংবাদিককে বিভিন্ন রকম ভাবে জেরা করতে থাকেন।এরপর ঘটনাস্থলে আসেন একজন পুলিশঅফিসার। তিনি সাংবাদিকের সরকারিপ্রেস কার্ড, গাড়ির লাইসেন্স সহ একাধিকপরিচয় খতিয়ে দেখেন। কাগজপত্র দেখার নামে শীতের রাতে এই ভাবে প্রায় আধঘন্টাসাংবাদিকের পরিবারকে আটকে রেখে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর সাংবাদিকের স্ত্রী কেন হেলমেট পড়েননি। এই কারণ দেখিয়ে ফাইন নিয়ে তবে সাংবাদিককে ছাড়া হয়।
এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা সভাপতি স্নেহাশিস চক্রবর্তি বলেন, এটা খুব বাজে ব্যাপার। সাংবাদিক নিগ্রহ খুব জঘন্য কাজ। আপনি থানায় একটা অভিযোগ করুন।এই বিষয়ে পুলিশ কমীশনার অর্ণব ঘোষকে ফোন করা হলে তিনি এই বিষয়ে কিছু বলতে চাননি।