আহমেদাবাদে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
নিউজ ডেস্ক::গুজরাতে সকাল সকাল ভোট দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আহমেদাবাদের রানিপে স্কুলে ভোট দেন তিনি। হেঁটেই বুথে ভোট দিতে যান তিনি। আবার ভোট দান করে হেঁেটই বেরিয়ে যান প্রধানমন্ত্রী মোদী। তাঁকে দেখে রাস্তার ২ ধারে দাঁড়িয়ে থাকা অসংখ্য মানুষ মোদী মোদী স্লোগান দিতে থাকেন। আজই শেষ দফার ভোট গ্রহন গুজরাতে।
আজ গুজরাতে দ্বিতীয় এবং শেষ দফার ভোট গ্রহন। ৯৩টি আসনে ভোট গ্রহন হচ্ছে আজ। প্রধানমন্ত্রী হলে নরেন্দ্র মোদী গুজরাতের বাসিন্দা তিনি সেখানকারই ভোটার। তাই শেষ দফার ভোটে ভোট দিয়েছেন তিনি। সকাল সকালই গুজরাতের আহমেদাবাদের রনিপে পৌঁছে যান তিনি। হেঁটেই ঢোকের বুথে। বেশ অনেকটা হেঁটে আসতে হয় তাঁকে। নির্বাচনী বিধি থাকায় গাড়ি ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। সেই নিষেধাজ্ঞা মেনেই তিনি হেঁটে রনিপে স্কুলের বুথে ঢোকেন। তাঁর যাওয়ার পথের ২ ধারে দাঁড়িয়েছিলেন অসংখ্য অনুগামী। মোদী মোদী স্লোগান দিতে শুরু করেছিলেন তাঁরা।
একেবারে সাধারণ নাগরিকদের মতই লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেন তিনি। ভোটার কার্ডও দেখিয়েছেন তিনি। ভোট দিয়ে সাংবাদিকদের ভোট দানের প্রমাণ আঙুলের কালিও দেখান প্রধানমন্ত্রী মোদী। তারপরে তিনি হেঁটেই বুথ থেকে বেরিয়ে যান। উত্তর এবং মধ্য গুজরাতে ভোট গ্রহন। প্রথম দফায় ৫ শতাংশ কম ভোট পড়েছিল। দ্বিতীয় দফায় সকাল থেকেই বুথে বুথে লম্বালাইন দেখা গিয়েছে। হেভিওয়েটদের কেন্দ্রে ভোট রয়েছে আজ। মুখ্যমন্ত্রীর ভূপেন্দ্র প্যাটেল, জিগনেশ মেবানি, হার্দিক প্যাটেলের মত হেভিওয়েট নেতাদের আজ ভাগ্য পরীক্ষা।
ভোট সমীক্ষা আগেই দাবি করেছে এবারও গুজরাতে বিজেপি জিতবে। তবে ভোটের শতাংশ কমবে। এমনকী আসন সংখ্যাও বিজেপির কমবে বলে দাবি করেছে সমীক্ষা। কারণ এবারে প্রথম থেকেই চাপে রয়েছে গুজরাতের বিজেপি সরকার। মোরবি ব্রিজ কাণ্ডের পর থেকেই চাপ বেড়েছে বিজেপির উপর। সেতু দুর্ঘটনায় বিজেপি সরকারের একাধিক গাফিলতির ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। সেকারণে একেবারে কোমর কষে প্রচার চালিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নিজে একাই গুজরাত জুড়ে একের পর এক প্রচার, সভা, ব়্যালি করেছেন তিনি।