বিশ্বকর্মা – স্বর্গ-মর্ত্য-পাতালের আদি যন্ত্রবিদ
নিউজ ডেস্ক::বিশ্বকর্মা একজন বৈদিক দেবতা। আমার যত দেব দেবীর পুজো করি তার মধ্যে মাত্র কয়েক জনের সন্ধান পাওয়া যায় বেদে। বৈদিক সাহিত্য ও পুরান বলছে পরম ব্রহ্ম এই মহাবিশ্বের স্রষ্টা। তারপর? তারপরের কাজ দেবতা বিশ্বকর্মার। স্বর্গ-মর্ত্যকে বাসযোগ্য করে তুললেন বিশ্বকর্মা। তাই তাঁকে
স্বয়ম্ভু এবং বিশ্বের স্রষ্টা হিসাবে বিবেচনা করা হয়। পুরান ও রামায়ণ, মহাভারতে বিশ্বকর্মার বহু সৃষ্টির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন তিনি দেবতা কৃষ্ণের রাজধানী দ্বারকা শহরটি নির্মাণ করেছিলেন। এছাড়াও তিনি রামায়ণে বর্ণিত লঙ্কা নগরী, পাণ্ডবদের মায়া সভা, রামায়ণে উল্লিখিত ব্রহ্মার পুষ্পক রথ, দেবতাদের বিভিন্ন গমনাগমনের জন্য বিভিন্ন বাহন, দেবপুরী এবং বিষ্ণুর সুদর্শন চক্র, শিব এর ত্রিশূল, কুবের এর অস্ত্র, ইন্দ্রের বজ্র, কার্তিকের শক্তি সহ দেবতাদের জন্য বহু কল্পিত অস্ত্রের স্রষ্টা। বিশ্বকর্মার ভক্তরা বিশ্বাস করেন যে তিনি এই বিশ্বের সব কর্মের সম্পাদক। তিনি সব ধরনের শিল্পের প্রকাশক।
তাই সারা ভারতব্যাপী হিন্দু ধর্মের মানুষের তাঁর আরাধনা করেন। ভারতের বাইরেও নেপাল,বাংলাদেশে বিশ্বকর্মার। আরাধনা করা হয়।
এটাই বিশ্বাস, বিশ্বের আদি যন্ত্রবিদ বা ইঞ্জিনিয়ার স্বয়ং বিশ্বকর্মা। হিন্দু রীতি অনুযায়ী অন্যান্য পুজো নির্ভর করে নানা তিথি নক্ষত্র গণনার উপরে। আর বিশ্বকর্মা পুজো হয়, কন্যা সংক্রান্তিতে – যা চিরাচরিত নিয়ম অনুযায়ী ১৭ সেপ্টেম্বর হয়। কিন্তু এবছর
কন্যা সংক্রান্তরির সময় গণনা করে ১৮ সেপ্টেম্বর বিশ্বকর্মা পুজোর দিন নির্ধারিত হয়েছ। যেখানেই শ্রমজীবী মানুষ, কায়িক শ্রমের মাধ্যমে অর্থ রোজগার করে সেখানেই আড়ম্বরের সঙ্গে হচ্ছে বিশ্বকর্মা পুজো।